মশা নিয়ন্ত্রণে রিসার্চ সেন্টার করতে বললেন হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ আগস্ট, ২০২৩, 2:48 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ আগস্ট, ২০২৩, 2:48 PM
মশা নিয়ন্ত্রণে রিসার্চ সেন্টার করতে বললেন হাইকোর্ট
জনস্বার্থে মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারকে একটি রিসার্চ সেন্টার করতে বলেছেন হাইকোর্ট। যা বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। রোববার (১৩ আগস্ট) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ২০১৯ সালের ৩ মার্চ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশার উপদ্রব থেকে সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ হাইকোর্ট রুল দেন। পরে গত বছরের নভেম্বরে হাইকোর্ট বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও উত্তর সিটি করপোরেশনকে একসঙ্গে বসে বিমানবন্দরে মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় মশার ধরন, উৎপত্তিস্থল ও লার্ভার উপস্থিতি বিষয়ে জরিপ এবং কার্যক্রম জানিয়ে পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করেন বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের আইনজীবী। এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেতে কীটতত্ত্ববিদ, গবেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক কবিরুল বাশারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিমানবন্দর এলাকায় মশার উপস্থিতি আছে। বিমানবন্দরের মধ্যে একটি জায়গায় ১০ হাজার লার্ভা আছে, যা উদ্বেগজনক। বিমানবন্দরসংলগ্ন সিটি করপোরেশনের এলাকার মধ্যেও লার্ভা আছে। তিনি আরও বলেন, মশা বা মশাবাহিত রোগের সমস্যা কেবল হযরত ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা সিটি করপোরেশন এলাকার সমস্যা না। সমস্যাটি সারা দেশের। বিমানবন্দর এলাকার মশা নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে হাইকোর্টে উপস্থাপন করা প্রতিবেদনে তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও মশা ও মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ১৯৭৫ সালে ভেকটর কন্ট্রোল রিসার্চ সেন্টার (ভিসিআরসি) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত আধুনিক ও যুগোপযোগী। বাংলাদেশে এমন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি হলে বাহক বাহিত রোগ ও বাহক মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত কীটনাশক, যন্ত্রপাতি এবং এর রোগতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করা যাবে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান তৈরি করলেই হবে না, এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব দিতে হবে কীটতত্ত্ববিদদের হাতে। প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব অভিজ্ঞদের হাতে না দিলে তা অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে রূপ নিবে। এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ রিট খারিজ করে রিসার্চ সেন্টার করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।