ঢাকা ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
আমারও বলব বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা ফিরিয়ে দাও: রিজভী দেশে বড় সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা, সীমান্তে সতর্ক বিজিবি মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর পালিয়ে যাওয়া ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দিকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গাড়িতে বসালো জিপিএস ট্র্যাকার নতুন মামলায় সাবেক ৪ মন্ত্রীসহ গ্রেফতার ৯ পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি মুন্নী সাহা সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে বেতনের বাইরে জমা হয় ১৩৪ কোটি সব নাগরিকের নিরাপত্তায় অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র কানাডাকে অঙ্গরাজ্য বানাতে চান ট্রাম্প!

মঠবাড়িয়ায় বৃদ্ধাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

#

২২ নভেম্বর, ২০২১,  3:46 PM

news image

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় রহিমা খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে আগুনে পুড়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ওই বৃদ্ধার মৃত্যুর সপ্তাহ খানেক পরে এমন অভিযোগে এলাকায় ব্যপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার চড়কখালী গ্রামের আবুল হাসেম হাওলাদারের স্ত্রী রহিমা খাতুন ০৬ নভেম্বর রাতে নিজের রান্না ঘরে আগুনে দগ্ধ হয়।

এ সময় তার ডাকচিৎকারে ছেলে ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই দিন চিকিৎসার পর রহিমা খাতুনের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাওয়ার পরমর্শন দেন। কিন্তু রহিমা খাতুনের ছেলেরা অসহায় হওয়ায় তারা তাকে বাড়ি নিয়ে যান। এরপর বাড়িতে বসে রহিমা খাতুনের মৃত্যু হয়। এদিকে রহিমার দাফন কাফন সম্পন্ন হওয়ার পর একই বাড়ির মৃত তোরাব আলী খানের পুত্র খালেক মিস্ত্রী নিজের দোষ স্বীকার করে বিভিন্ন জনের কাছে ক্ষমা চাওয়া শুরু করেন। নিহতের ছেলে আল-আমিন জানান, ঘটনার দিন সকালে আমি চট্টগ্রামে যাব বিধায় মা ভোর রাতে রান্না ঘরে বসে আমার জন্য গরম ভাত ও নাড়– বানাতে ছিল। এরই মধ্যে তার ডাক চিৎকারে রান্না ঘরে যেয়ে দেখি শরীর আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। অপর ছেলে রুহুল আমীন জানান, মায়ের দাফনের পর পরই খালেক মিস্ত্রী বিভিন্ন লোকের কাছে তার অপরাধের কথা স্বীকার করেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহবুব খান ও সমাজ সেবক আঃ হকসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে খালেক মিস্ত্রী ভুল স্বীকার করে তাদের পা ধরে মাপ চান। সমাজ সেবক আঃ হক জানান, রহিমার দাফনের পর একই বাড়ির খালেক মিস্ত্রী এলাকার লোকজনের কাছে একটি অপরাধ করছে বলে জানান। পরে আমার বাস ভবনে সালিশ বৈঠকে বসলে সে আমিসহ স্থানীয় ইউপি সদস্যের পা ধরে মাপ চাওয়া শুরু করে। বিষয়টি সন্দেহ জনক হওয়ায় আমরা আর সালিশ ব্যবস্থা করিনি। নিহতের ছেলে রুহুল আমীন জানান, খালেকের সাথে আমাদের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে রাতের আধাঁরে পিছন থেকে আমার মায়ের গায়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে অভিযুক্ত খালেক মিস্ত্রীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন আকন জনান, ঘটনাটি আমাকে কেউ আগে জানায়নি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।


logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম