ভাষা সৈনিক মো: রেজাউল করিমের ইন্তেকাল, বিভিন্ন সংগঠনের শোক
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ জানুয়ারি, ২০২২, 4:09 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ জানুয়ারি, ২০২২, 4:09 PM
ভাষা সৈনিক মো: রেজাউল করিমের ইন্তেকাল, বিভিন্ন সংগঠনের শোক
ভাষা সৈনিক রেজাউল করিম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহে ওয়া ইন্না-ইলাইহে রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্যামলী বাসভবনে বাধ্যক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন। ভাষা সেনিক রেজাউল করিমের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সম্মিলিত সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিষদের মহসচিব মহসীন আহমেদ স্বপন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা ও মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা,
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস. এম শাহাদাত, বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী ও মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন সমন্বয়কারী মো. মহসিন ভুইয়া, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মহাসচিব এডভোকেট সাইফুল ইসলাম সেকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন, জাতীয় নারী আন্দোলন সভাপতি মিতা রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, শেরে বাংলা গবেষণা পরিষদের মহাসচিব আর কে রিপন।
উল্লেখ্য, ভাষা সৈনিক মোঃ রেজাউল করিম ১৯৩৭ সালে ৪ এপ্রিল বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার নারচি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার দাদা প্রজাবন্ধু মৌলভী রাজিবউদ্দিন তরফদার ছিলেন বৃটিশ পার্লামেন্টের একজন জোরালো কন্ঠস্বর। তিনি একাধারে ৩৩ বছর বঙ্গীয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্য (এমএলএ) ছিলেন। তিনি ১৯৪৪ সালে নারচী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। ১৯৫০ সালে আজিমপুর ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং এই স্কুল থেকে ১৯৫৫ সালে ম্যাট্টিক পাশ করেন। ১৯৫৬ সালে চট্টগ্রাম নাইট কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৫৯ সালে এসএসসি এবং ৬২ সালে বিএ পাশ করেন।
পরবর্তীতে চট্টগ্রাম ল’কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু দু’বছর অধ্যয়ন করার পরে নানা জটিলতার কারণে চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। অদম্য এই ভাষা সৈনিক তার শিক্ষা জীবন থামিয়ে রাখেননি। বর্তমানে আইন বিভাগে পড়াশুনা করছেন ইতিমধ্যে দুটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল ভাষা আন্দোলনের বিস্ফোরণ পর্ব। যা শুরু হয়েছিল ১৯৪৭ সাল থেকে। তিনি ৫২ সালের আন্দোলনে অংশ নেন এবং ঐতিহাসিক আমতলা সভায় অংশ নিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। সেখানে পুলিশের কাঁদানি গ্যাস ও লাঠিচার্জের শিকার হয়ে আহত হন। ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হরতালের আন্দোলনে তিনি ছিলেন রাজপথে।
শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি ১৯৬৩ সালে বহুজাতিক কোম্পানী লিভার ব্রাদারস লিঃ এ যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। এর কিছু পূর্বে এমএম ইস্পাহানী লিঃ এ চাকুরীতে ছিলেন। তৎকালীন পাকিস্তান কেমিক্যা ইন্ডাঃ সিআইপিতে কর্মরত থাকাকালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। অতঃপর ১৯৭৩ সালে বদলী বিসিআইসি’র অধীনে ঘোড়াশাল ও আশুগঞ্জ কারখানার ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকুরি করেন। অতঃপর ফেন্সুগঞ্জ কারখানার মহাব্যবস্থাপকের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন ১৯৯৭ সালে।
অবসর গ্রহণ করার পরেও তিনি থেমে থাকেননি। বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তাদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি চন্দ্রিমা ফিটনেস ক্লাবের একজন নিয়মিত সদস্য। চন্দ্রিমা ফিটনেস ক্লাব শুরু থেকেই তিনি এই ক্লাবের সদস্য ছিলেন। ভাষাসৈনিক রেজাউল করিম শেরে বাংলা পদক, ভাষাসৈনিক ড. জসীমউদ্দিন স্মারক পদক, ভাষাসৈনিক মিলন মেলার ক্রেস্টসহ বহু পদকে তিনি ভূষিত হয়েছেন।