ঢাকা ৩১ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
৫ আগস্ট ঘিরে নিরাপত্তা হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আবু সাঈদ হত্যা: অভিযোগ গঠনের আদেশ ৬ আগস্ট রাজনগরে প্রবাসী কয়ছর হত্যাকান্ডের তদন্ত ও বিচার দাবি করছে পরিবার ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান নায়িকা মিষ্টি জান্নাতের বাবার ইন্তেকাল মুন্নী সাহাকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ ভোলার ১০ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ এলডিসি থেকে উত্তরণ বিষয়ক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁয় মহাসড়কে আলু ফেলে চাষিদের বিক্ষোভ মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: দগ্ধ দুইজন এখনও আইসিইউতে

বৈষম্যবিরোধী নেতা রিয়াদের বাসা থেকে ২ কোটি টাকার চেক উদ্ধার: ডিএমপি

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ জুলাই, ২০২৫,  12:34 PM

news image

গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা নিতে গিয়ে গ্রেফতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমানের (রিয়াদ) বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমানের (রিয়াদ) বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার  বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ডিএমপির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক মোট দুই কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কলাবাগান থানায় আলাদা একটি মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। গত ২৬ জুলাই সন্ধ্যার পর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডের ওই বাসায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেয়ার পর আরও ৪০ লাখ টাকা চাঁদা নেয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন পাঁচজন। তারা হলেন-মো. সাকাদাউন সিয়াম (২২), নাটোরের লালপুরের বাসিন্দা সাদমান সাদাব (২১), মো. আমিনুল ইসলাম (১৩), ইব্রাহীম হোসেন (২৪) এবং আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ (২৫)। তাদের মধ্যে রিয়াদ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা এবং ধানমন্ডির নিউ মডেল এলাকায় বসবাস করেন। এছাড়া ইব্রাহীমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের রামদাসদী গ্রামে এবং আমিনুল বাড্ডা আলাতুন্নেছো স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। ইব্রাহীম হোসেন মুন্না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক। মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব সদস্য। পরে রাতেই চাঁদাবাজির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তিনজনকে বহিষ্কার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় চারজনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

২৭ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত তাদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৭ দিনের রিমান্ড পাওয়া আসামিরা হলেন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ এবং সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার বহিষ্কৃত আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় আসামি বৈষম্যবিরোধী নেতা রিয়াদ ও অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সাবেক এমপি শাম্মী আহম্মেদের বাসায় যান। তখন তারা হুমকি ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ আখ্যায়িত করে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেন এবং টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা নগদ ৫ লাখ টাকা ও ভাইয়ের কাছে থেকে নিয়ে আরও ৫ লাখ টাকা দেন। এর পর ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় প্রবেশ করে তার ফ্ল্যাটের দরজায় সজোরে ধাক্কা মারেন।

বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশকে মুঠোফোনে অবহিত করলে আসামিরা চলে যায়। ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় আবার রিয়াদের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা বাদীর বাসার সামনে এসে তাকে খুঁজতে থাকেন। বাসার দারোয়ান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে বিষয়টি জানান। তখন আসামিদের দাবি করা বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। পরবর্তীতে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে হাতেনাতে আটক করে। এ সময় অন্য আসামি অপু পালিয়ে যান। এদিকে চাঁদাবাজির ঘটনায় নেতাকর্মী গ্রেফতারের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতিত সারা দেশে সব কমিটি স্থগিত করা হয়।

২৭ জুলাই সাবেক সমন্বয়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।  সংবাদ সম্মেলনে রিফাত রশিদ আরও বলেন, এখন রাজনৈতিক দলের শেল্টারে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে অনেকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন অপরাধের দায় স্বীকার করে সারা দেশের কমিটি স্থগিত করেনি কেউ-এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন,  পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান বৈছাআ'র ব্যানার ব্যবহার করে যারা যে অপকর্ম করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম