ঢাকা ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
তেঁতুলিয়ায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ যানবাহনের সংঘর্ষ ব্রাজিলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩৮ নরসিংদীতে ছাত্রদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা মন্দা কাটছে না, কমেছে কাঁচামাল আমদানি অপরিচিত এক ভাইরাস ডিঙ্গা ডিঙ্গা, আক্রান্ত একের পর এক নারী-শিশু আরেকটি বাধা পেরোলেই মুক্ত হতে পারবেন বাবর আয়কর রিটার্ন: লক্ষ্য থেকে দূরে রাজস্ব বোর্ড অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপ: শিরোপা জিততে বাংলাদেশের চাই ১১৮ রান দেশের প্রেক্ষাগৃহে আসছে জয়ার নতুন সিনেমা

বিচারক কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ নভেম্বর, ২০২১,  11:03 AM

news image

ধর্ষণ ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে পুলিশকে মামলা না নেওয়ার পর্যবেক্ষণ দেওয়া বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ওই বিচারককে আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। 

রোববার (১৪ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ও মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এতে আরও বলা হয়, তার ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে বর্তমান কর্মস্থল থেকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। 

গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) একটি ধর্ষণ মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে খালাস দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মামলার দুই ভিকটিম আগে থেকেই সেক্সুয়াল কাজে অভ্যস্ত। তারা স্বেচ্ছায় হোটেলে গেছেন। সেখানে গিয়ে সুইমিং করেছেন। ঘটনার ৩৮ দিন পর তারা বললেন, ‘আমরা ধর্ষণের শিকার হয়েছি’। অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া এরপর থেকে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায় তা না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম