বাংলাদেশ সিরিজে শামিকে পেতে আশাবাদী ভারত
স্পোর্টস ডেস্ক
১১ আগস্ট, ২০২৪, 11:03 AM
স্পোর্টস ডেস্ক
১১ আগস্ট, ২০২৪, 11:03 AM
বাংলাদেশ সিরিজে শামিকে পেতে আশাবাদী ভারত
মোহাম্মদ শামির অ্যাঙ্কেলের চোটের আশাব্যঞ্জক উন্নতি হয়েছে। প্রায় ৯ মাস ধরে মাঠের বাইরে থাকা পেসারকে তাই আগামী মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে পাওয়ার আশায় আছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। চেন্নাইয়ে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের প্রথম টেস্ট। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজকে লক্ষ্য বানিয়েই এখন বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে (এনসিএ) পরিশ্রম করছেন শামি।
বাংলাদেশ সিরিজের আগে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শুরু হবে দিলিপ ট্রফি। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিটনেসের অবস্থা বোঝার জন্য দিলিপ ট্রফির অন্তত একটি ম্যাচে শামিকে খেলানো হবে কি-না, সেই সিদ্ধান্ত শিগগিরই নেবেন নির্বাচকরা।
আপাতত এনসিএতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে রয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী পেসার। অ্যাঙ্কেলে সফল অস্ত্রোপচারের পর গত মাসে বোলিং শুরু করেছেন তিনি। ব্যথামুক্ত হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে তার বোলিং ওয়ার্কলোড।
শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য গত মাসে দেশ ছাড়ার আগে প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকারও বলেছিলেন, বাংলাদেশ সিরিজে চোখ রেখেই শামির ফেরার পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
তিনি জানান, “শামি বোলিং শুরু করেছে। এটি খুব ভালো দিক। সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ (বাংলাদেশের বিপক্ষে) প্রথম টেস্ট এবং সবসময় সেটিই লক্ষ্য ছিল। আমি জানি না, এর মধ্যে সে সেরে উঠতে পারবে কিনা। এনসিএতে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।”
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সিরিজ বা এরপর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে যদি খেলতে নাও পারেন, তবু নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার যথেষ্ট সময় পাবেন শামি। এর আগে অক্টোবরে শুরু হবে রাঞ্জি ট্রফি। এছাড়া 'এ' দলেরও কিছু ম্যাচ থাকায় ফিটনেস প্রমাণ করার অনেক সুযোগ পাবেন শামি।
গত বছরের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের পর আর কোনো ধরনের কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি শামি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, চোটের মাত্রা অতটা তীব্র নয়। তাই ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলেও রাখা হয়েছিল তাকে।
পরে দল থেকে বাদ দিয়ে তাকে পাঠানো হয় এনসিএতে। তখন লক্ষ্য ছিল ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। কিন্তু তখন ডান পায়ের অ্যাঙ্কেলে ফোলা না কমার কারণে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে আইপিএল ও পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও খেলা হয়নি তার।