পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডের চার তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকালে রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন মির্জানগর এলাকার মো. আজিম-উদ-দৌলার ছেলে এস এম খাইরুল আজম (২৯)। তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে গত দেড় মাস ধরে ঈশ্বরদী ইপিজেডের রেনেসা বারিন্দ্র লিমিটেটের ডাটা অ্যান্ট্রি অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিহতের বাবা জানান, আজম প্রতিদিনের মতো রোববার সকাল ৭টার দিকে বাড়ি হতে ঈশ্বরদী ইপিজেডের রেনেসা বারিন্দ্র লিমিটেডের উদ্দেশে রওনা হয়।

কর্মস্থলে যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে ডিউটি করার একপর্যায়ে দুপুর পৌনে ১টার দিকে অফিস থেকে একটি মোবাইল ফোনে আমাকে জানান আমার ছেলে এস এম খাইরুল আজম তার কর্মরত ভবনের চতুর্থ তলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এ খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক আমার পরিবারের লোকজনসহ ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে দেখি আমার ছেলের মৃতদেহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় পড়ে রয়েছে। রেনেসা বারিন্দ্র লিমিটেডের অ্যাডমিন ম্যানেজার অমিত কুমার কুণ্ডু জানান, রোববার দুপুরে এ ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। প্রথমে আহত অবস্থায় খাইরুলকে নিজস্ব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া দেওয়া হয়েছে। এ সময় তার অবস্থা গুরুতর দেখে সেখানকার কর্তব্যরত নার্স তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী হাসপাতালে নিতে বলেন। পরে তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম জানান, রোববার দুপুরে এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত হতে ক্যামেরা ফুটেজ দেখে আমরা বুঝতে পারি, রোববার বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে নিহত খাইরুলের মোবাইল ফোনে একটি কল আসে এবং তিনি কথা বলেন। কথা শেষ করার পর থেকে তার স্বাভাবিক চলাচলে ছন্দপতন ঘটে। পরে দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটের দিকে সে তার কক্ষ ছেড়ে সিঁড়ি বেয়ে একই ভবনের চার তলায় উঠেন। এ সময় সেখানকার রেলিং ডিঙ্গিয়ে ১২টা ২০ মিনিটে খাইরুল নিচে লাফ দেন। তিনি আরও জানান, গোপন-সূত্রে জানতে পেরেছি আজমের প্রেমিকার রোববার গায়েহলুদ ছিল। হয়তো সেই শোক সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।