ঢাকা ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর মোবাইল হ্যাক মূল্যস্ফীতি প্রকাশে কারচুপি নেই, তাই বেশি দেখাচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা জুলাই-আগস্টে নিহতদের ছাড়া কারও প্রতি দায়বদ্ধতা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা চাঁদাবাজদের কারণেই বাড়ছে দাম, তালিকা করে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার সহপাঠী নিহতের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ৫ দফা দাবি বুয়েট শিক্ষার্থীদের উপদেষ্টা হাসান আরিফের দাফন সোমবার নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল, চার বন্দরে সতর্ক সংকেত সড়কের নৈরাজ্যে পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত: নাহিদ ইসলাম রাহাত ফতেহ আলীর কনসার্ট উপলক্ষে ডিএমপি নির্দেশনা নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাব: ড. ইউনূস

পেঁয়াজ আমদানির বিকল্প উৎস হতে পারে মিশর

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,  1:23 PM

news image

ঢাকায় নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এদ্দিন আহমেদ ফাহমি বলেছেন, বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে পেঁয়াজ আমদানির জন্য মিশর বিকল্প উৎস হতে পারে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। মিশরের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হলেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখনও আশানুরূপ পর্যায়ে পৌঁছায়নি, যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৮০.৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মিশর হতে পেট্রোকেমিক্যাল এবং সার আমদানির জন্য বাংলাদেশের প্রতি তিনি উদাত্ত আহ্বান জানাই। তিনি আরও বলেন, মিশরীয় তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ করেছে এবং ভবিষ্যতে বিভিন্ন খাতে তার দেশের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পখাতে ক্রমাগত উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং মিশরের বাজারে ক্যানসারের ওষুধের বেশ চাহিদা রয়েছে, যার সুযোগ বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা গ্রহণ করতে পারে। এ সময় রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা চেম্বার সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের হিমায়িত খাদ্য, চিংড়ি এবং সুস্বাদু আম ইউরোপসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি হচ্ছে, যা মিশরেও রপ্তানি করা যেতে পারে। বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়াজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, সিরামিক, ওষুধ প্রভৃতি পণ্য আরও বেশি আমদানির জন্য মিশরের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের নদী ভিত্তিক পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে মিশরের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তার ওপর জোরারোপ করেন। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে মিশরীয় পণ্য রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশ অন্যতম প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলে জানান ডিসিসিআই সভাপতি। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে একক ও যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে মিশরীয় উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) সেশন আয়োজনের পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সমঝোতা স্মারক সইয়ের ওপর জোরারোপ করেন আশরাফ আহমেদ। সৌজন্য সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী এবং ঢাকার মিশর দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন সোহেলা মাহরিন।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম