ঢাকা ০৯ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সুনামগঞ্জ ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি আসাদ মুরাদ তালুকদার সাংবাদিক এস কে কামরুল হাসানের নামে মামলা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজির ৪০ কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ‘এনবিআর কর্মকর্তাদের ভয়ের কিছু নেই, সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভিন্নভাবে দেখা হবে’ টাঙ্গাইলের বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ৩ নবীজীর প্রেমে নিবেদিত নতুন নাশিদ ‘ওয়া রাফানা লাকা জিকরাক’ প্রকাশিত চালের দাম নিয়ে যা বললেন খাদ্য উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচন পেছানো নয়, সুষ্ঠু পরিবেশ চায় জামায়াত: গোলাম পরওয়ার চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের বিক্ষোভে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান গণহত্যার মামলা: হাসিনা-কামাল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই

পাহাড়ে বিলুপ্তির পথে বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ

#

০৩ ডিসেম্বর, ২০২২,  2:03 PM

news image

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : পাহাড়ে অবাধে বাঁশকোড়ল (চারাবাঁশ) আহরণ করে বাঁশ নিধনের কারণে বিলুপ্তির পথে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাকৃতিক মূল্যবান বাঁশ সম্পদ। বিশেষ করে খাগড়াছড়ির প্রতিটি উপজেলার বাজারগুলোতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে বাঁশকোড়ল। ব্যবসায়ীরাও বাজারগুলো থেকে বাঁশ-কোড়ল সংগ্রহ করে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সবজি হিসেবে বিক্রি করছে। খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, ঘুইমারা, লক্ষীছড়ি, মহালছড়ি ও রামগড় উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে প্রতিদিন হাজার হাজার বাশঁ-কোড়ল বিক্রি হচ্ছে। এতে পাহাড়ের বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ নিধন হচ্ছে। বিগত ২০ থেকে ২৫ বছর যাবৎ খাগড়াছড়ি জেলা পায়া বাঁশ, মুলি বাঁশ, মিতা বাঁশ, ওড়া বাঁশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান বাঁশের জন্য বিখ্যাত ছিল। তবে প্রতিনিয়ত কোন প্রকার নিয়মনীতি ছাড়াই বাঁশকোড়ল (চারা বাঁশ) আহরণ করে সবজি খাদ্য হিসেবে ব্যবহার, অবাধে বাঁশ বাজারজাত এবং ব্যাপক হারে বাঁশ নিধন করা হচ্ছে। অপরিকল্পতিভাবে বনাঞ্চল কেটে আগুনে পুড়িয়ে তৈরিকৃত জমিতে জুমচাষের ফলে বিলুপ্তি পথে রয়েছে প্রাকৃতিক মূল্যবান এ বাঁশ সম্পদ। এই বাঁশ দিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি, আসবাবপত্র তৈরি ইত্যাদি কাজে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাও এখন হারিয়ে যাচ্ছে। একসময় পাহাড়িরা সবজি হিসেবে বিভিন্ন ভাবে বাঁশকোড়ল রান্না করে খেতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বাঁশকোড়ল এখন বাঙালিদেরও প্রিয় সবজি। বাঁশকোড়লকে স্বাস্থ্যকর খাবার মনে করেন অনেকে।  বন বিভাগের মতে, জুন, জুলাই এবং আগস্ট এই তিন মাস পার্বত্যাঞ্চলে বাঁশ কর্তন বন্ধ রাখা এবং পরিবহন করার অনুমতি দেয়া হয় না। বর্ষাকালে বাঁশের বংশবৃদ্ধি হয়। যার কারণে তিন মাস বাঁশ কর্তনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। স্থানীয়রা পাহাড়ের জঙ্গল থেকে বাঁশ-কোড়ল সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করেন। তারা বিভিন্ন বন থেকে বাঁশ-কোড়ল সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি মাধ্যমে পরিবারে আর্থিক সংকট মিঠাচ্ছেন এবং তাদের ছেলে মেয়েদের পড়া লেখার খরচ বহন করছেন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাহাড়িদের কাছে বাঁশকোড়ল খুবই সুস্বাদ খাবার, তারা এটা সবজি হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। তবে সরকারি হিসেবে এই সময়ে তিন মাসের জন্য বাশঁকোড়ল আহরণ নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্ত এখান কার পাহাড়িদের বাঁশকোড়ল আহরণ নিষেধাজ্ঞা সর্ম্পকে তেমন কোন ধারণা নেই। খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলম বলেন, বাঁশকোড়ল বা বাঁশের চারাকে স্থানীয়রা  সবজি হিসাবে ব্যবহার করে থাকে। তাদেরকে বুঝানো হয়েছে যে বাঁশ-কোড়ল সংরক্ষণ করা জন্য। এতে তারা লাভবান হবেন এবং প্রাকৃতিক মূল্যবান এ বাঁশ সম্পদও রক্ষা হবে।


logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম