
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ জুলাই, ২০২৫, 11:50 AM

পরিবর্তন আসছে ৩৯ সংসদীয় আসনে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৩৯টি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ২৬১টি আসনের সীমানা অক্ষুণ্ন রেখে এই সংখ্যক আসনে ছোটোখাটো পরিবর্তন আনতে চাইছে তারা। তবে ভোটার ও জনসংখ্যাকে বিবেচনায় নিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়ানো ও বাগেরহাটে একটি আসন কমানোর প্রস্তাব করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণে গঠিত বিশেষায়িত কমিটি ৪২টি আসনে পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছিল। এর মধ্যে ইসি ৩৯টিতে পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছে।
গতকাল রাতে ৩৯টি আসনের পরিবর্তনসহ ৩০০ আসনের সীমানার খসড়া ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিশেষায়িত কমিটির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভোটার এলাকা গাজীপুর জেলা এবং সর্বনিম্ন বাগেরহাট। ভোটার ও জনসংখ্যা বিশ্লেষণ করে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানোর এবং বাগেরহাটে একটি আসন কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সংসদীয় এলাকার খসড়া গেজেট আকারে প্রকাশ করবে ইসি। একই সঙ্গে ইসির ওয়েবসাইটেও এটা প্রকাশ করা হবে। এই খসড়ার বিষয়ে ১০ আগস্টের মধ্যে দাবি কিংবা আপত্তি জানানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। আপত্তির শুনানি শেষে চূড়ান্ত সীমানার গেজেট প্রকাশ করা হবে। এ সময় ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
যেসব আসনে পরিবর্তন আসছে :
পঞ্চগড় ১ ও ২; রংপুর ৩; সিরাজগঞ্জ ১ ও ২; সাতক্ষীরা ৩ ও ৪; শরীয়তপুর ২ ও ৩; ঢাকা ২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর ১, ২, ৩, ৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ ৩, ৪ ও ৫; সিলেট ১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩; কুমিল্লা ১, ২, ১০ ও ১১; নোয়াখালী ১, ২, ৪ ও ৫; চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট ২ ও ৩ আসনে পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে কমিয়ে তিনটি এবং গাজীপুরের পাঁচটি আসন থেকে বাড়িয়ে ছয়টি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সীমানা নির্ধারণে ৯ সদস্যের বিশেষায়িত কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী এই কমিটি ৬৪ জেলার ৩০০ আসন নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করে। তিনি আরও বলেন, জনশুমারি-২০২২ ধরে কাজ করতে গিয়ে কারিগরি কমিটি শুমারিতে বেশ কিছু অসামঞ্জস্য পেয়েছে।
ইসির হালনাগাদ ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে চার লাখ ২০ হাজার ৫০০ কমবেশি গড় ভিত্তিতে গ্রেডিং করে কারিগরি কমিটি। কোন জেলায় বেশি ভোটার, কোন জেলায় কম সেটাও পর্যালোচনা করা হয়। এক থেকে তিন আসনের জেলাগুলোকে আসন বাড়ানো-কমানোর ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশনার বলেন, আড়াইশ আসনের বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি বা আবেদন না আসায় বিদ্যমান সীমানাই বহাল রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত এক হাজার ৫শ’ মতো আবেদন পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৪২টি আসনে ছোট-বড় সংশোধন ও সমন্বয়ের প্রস্তাব করেছে কারিগরি কমিটি। সে অনুযায়ী ইসির এ সংক্রান্ত কমিটি প্রস্তাব প্রস্তুত করেছি।