
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 1:58 PM

নেপালে 'জেন জি' আন্দোলনে নিহতরা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত
নেপালে 'জেন জি' আন্দোলনে নিহতদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাঠমান্ডুর ট্রিচিং হাসপাতাল থেকে তাদের মরদেহ আনা হয় পশুপতিনাথ আর্যঘাটে। সেখানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মানের মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানো হয় আন্দোলনে প্রাণ হারানো এই তরুণদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নেপালের নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী ওম প্রকাশ আর্যল এবং জ্বালানি, অবকাঠামো ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী কুলমান ঘিসিং। তারা নিহতদের মরদেহে জাতীয় পতাকা বিছিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া আর্মড পুলিশ ফোর্স নিহতদের সামরিক সম্মান প্রদর্শন করে স্যালুট প্রদান করে। নিহতদের কয়েকজনকে তাদের নিজ নিজ জেলার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে স্থানীয়ভাবে তাদের দাফন বা সৎকার সম্পন্ন হয়। এর আগে, জেন জি আন্দোলনে নিহতদের 'শহীদ' ঘোষণা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পাশাপাশি, ১৭ সেপ্টেম্বরকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং এদিন সারাদেশে সরকারি ছুটি পালিত হবে বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়াও সরকার ঘোষণা দিয়েছে, নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ নেপালি রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর, নেপালের তরুণ প্রজন্ম রাস্তায় নামে দুর্নীতি, সরকারবিরোধী নিপীড়ন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে। আন্দোলনের প্রথম দিনেই সরকারের কঠোর দমন-পীড়নে প্রাণ হারান বহু মানুষ। পুলিশের টিয়ার গ্যাস, জলকামান, রাবার বুলেট ও গুলির মুখে অনেকেই আহত হন এবং কয়েকটি শহরে কারফিউ জারি করা হয়।কিন্তু চাপের মুখেও আন্দোলন থেমে যায়নি। পরদিন আরও জোরালোভাবে বিক্ষোভ শুরু হলে বিভিন্ন স্থানে সরকারি ভবন ও নেতাদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ ঘটে। চূড়ান্ত চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে ১২ সেপ্টেম্বর, আন্দোলনের মধ্যেই সুশীলা কার্কি নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সাবেক এই বিচারপতি এখন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করছেন। সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট