নিম্নচাপটি ‘সিত্রাংয়ে’ পরিণত, সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ অক্টোবর, ২০২২, 10:18 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ অক্টোবর, ২০২২, 10:18 PM
নিম্নচাপটি ‘সিত্রাংয়ে’ পরিণত, সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে সামান্য অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে পরিণত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় (অক্ষাংশ ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি উত্তর, দ্রাঘিমাংশ ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রি পূর্ব) অবস্থান করছে। দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা সংকেত বাড়ানো হয়েছে। রোববার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক ৬) এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি সন্ধ্যা ৬টায় (২৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭০ কি.মি দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০ কি.মি দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কি.মি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কি.মি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কি.মি. বেগে দমকা অথবা ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে, সেই সঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।