নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, নতুন এলাকা প্লাবিত
নিজস্ব প্রতিনিধি
১০ জুলাই, ২০২৪, 11:21 AM
নিজস্ব প্রতিনিধি
১০ জুলাই, ২০২৪, 11:21 AM
নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, নতুন এলাকা প্লাবিত
নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ। গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া গেজ স্টেশন পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমা উপর দিয়ে প্রাবাহিত হচ্ছে। রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি বাড়তে থাকায় প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা। ফসলী ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশুর খাবার সংকট দেখা দিয়েছে চরমে। সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি সামান্য কমলেও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলার ৫টি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়ন এখনও বন্যাকবলিত। বিশেষ করে শাহজাদপুর, চৌহালী, সদর ও কাজিপুরের মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। শাহজাদপুর উপজেলার ব্রাক্ষণগ্রাম, গোপিনাথপুর, আড়কান্দিতে বাড়িঘরের পাশাপাশি তলিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাট। এদিকে, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও পানিতে তলিয়ে আছে জেলার কুশিয়ারা অববাহিকার ৬টি উপজেলা। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলসীদ, শ্যাওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যাকবলিত মানুষরা
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে. এখনও পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। ২১৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন সাড়ে ৯ হাজার বন্যার্ত মানুষ। জেলার ৩টি পৌরসভা ও ৯২টি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে আছে বলে জানান তারা। টাঙ্গাইলে সব নদীর পানি কমার সাথে সাথে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন। বুধবার ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল স্রোতে যমুনা ও ঝিনাই নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া জেলার ভুঞাপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।