ধর্ষণ মামলায় সাবেক এমপি আরজু কারাগারে
নিজস্ব প্রতিনিধি
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, 3:25 PM
নিজস্ব প্রতিনিধি
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, 3:25 PM
ধর্ষণ মামলায় সাবেক এমপি আরজু কারাগারে
তালাকপ্রাপ্তা এক নারীকে মিথ্যা নাম-পরিচয় দিয়ে বিয়ে ও প্রতারণার অভিযোগে ধর্ষণ মামলায় পাবনা-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহার এ আদেশ দেন। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এস এম লুৎফর রহমান জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন আসামি আরজু, যা শুনানি শেষে নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। গত ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় পিবিআইয়ের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামি আরজুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহার। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল শিক্ষানবিশ এক আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। পরে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ দেন আদালত। ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম।মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বাদীর সঙ্গে তার প্রথম স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর ২০০১ সালের শেষের দিকে বাদীর চাচার মাধ্যমে আসামি সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজুর পরিচয় হয়। কিন্তু আসামি ওই সময় নিজের নাম ফারুক বলে উল্লেখ করেন। আসামি তার প্রথমপক্ষের স্ত্রী মারা গেছেন বলেও বাদীকে জানান। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর আসামির সঙ্গে বাদীর বিয়ে হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তাদের কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকেই আসামির আচার-আচরণে পরিবর্তন আসে। বাসায় আসা কমিয়ে দেন। বাদীর জমানো আট লাখ টাকা এবং তার বাবার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকাসহ ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেন আসামি। একপর্যায়ে বাদী আসামির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন তার প্রথম স্ত্রী জীবিত এবং প্রথমপক্ষে কন্যাসন্তান রয়েছে। এছাড়া ফারুক হোসেন নামে পরিচয় দিলেও তার আসল নাম খন্দকার আজিজুল হক আরজু। মিথ্যা তথ্য ও পরিচয় দিয়ে বাদীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের উদ্দেশ্যেই বিয়ের নামে প্রতারণা করেছেন আরজু। একইসঙ্গে আসামি বাদীর সঙ্গে বিয়ে ও তাদের সন্তানের পিতৃপরিচয় দিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু ওই কন্যাসন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে বাদীর গর্ভজাত এবং বিবাদী জন্মদাতা বাবা বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।