তদন্তে গিয়ে ঘুষ দাবি, দুদক কর্মকর্তাকে তলব
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ অক্টোবর, ২০২১, 4:00 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ অক্টোবর, ২০২১, 4:00 PM
তদন্তে গিয়ে ঘুষ দাবি, দুদক কর্মকর্তাকে তলব
সম্পদের তথ্য গোপন এবং আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের ঘটনায় এক দম্পতির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে ঘুষ দাবি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ওই কর্মকর্তার নাম মো. আলমগীর হোসেন। তিনি দুদকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। সোমবার (২৫ অক্টোবর) ওই অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আলমগীর হোসেনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে হাইকোর্টে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত হলফনামার মাধ্যমে রুলের জবাব দিতে বলেছেন এবং রিটকারীদের বিরুদ্ধে রুল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তদন্তকাজ বন্ধ রাখতেও নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আদালতে আদেশের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসিফ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি ও মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য জানাতে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ মো. আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার ও তার স্ত্রী মাহিনুর বেগমকে নোটিশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। আবদুল কুদ্দুস হাওলাদার ঢাকা সদরের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার এবং বর্তমানে তিনি পিরোজপুরের জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন। দুদকের (ঢাকা-১) উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ওই নোটিশ দেন। তবে নোটিশের উপযুক্ত জবাব না মেলায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর ওই দম্পতিকে আসামি করে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতে মামলা করে দুদক। ২৪ লাখ ৭০ হাজার ৫৪৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন, ৯০ লাখ ১২ হাজার ৭৯৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তা দখল রাখার অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আবদুল কুদ্দুস হাওলাদার সাব-রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে চাকরি করার সুবাদে দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উপার্জিত অবৈধ অর্থ দিয়ে তার নিজ নামে সম্পদ অর্জন করেন। এই সম্পদ নিজ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।