ঢাকায় ৮০ শতাংশ পরিবহন মালিক গরিব, দাবি এনায়েত উল্লাহর
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ নভেম্বর, ২০২১, 8:15 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ নভেম্বর, ২০২১, 8:15 PM
ঢাকায় ৮০ শতাংশ পরিবহন মালিক গরিব, দাবি এনায়েত উল্লাহর
ঢাকায় নগর পরিবহনে যে বাসগুলো চলে, তার মালিকদের ৮০ শতাংশই গরিব। একটা বা দুটো বাস চালিয়ে তাদের সংসার চলে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতা খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। বলেন, ‘এমন অনেক বাস মালিক আছেন, যারা খুব সামান্য লাভ করে থাকে এই ব্যবসা থেকে। শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া নিতে হলে তারা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে।’ শনিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে গণপরিবহণে অর্ধেক ভাড়া (হাফ পাস) চালু নিয়ে মালিকদের সঙ্গে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে এ কথা জানান এই পরিবহন নেতা। টানা দুই ঘণ্টা সময় নিয়ে চলা এ বৈঠকে পরিবহন মালিকরা টাস্কফোর্স গঠন করে তাদের জন্য ভর্তুকি নির্ধারণ করার দাবি জানান। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রস্তাব, বাস মালিকদের ক্ষতিপূরণ বা ভর্তুকির বিষয়টি নির্ধারণ করেই হাফ ভাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোন তহবিল থেকে এই ভর্তুকি আসবে সেটিও নির্ধারণ করতে হবে। খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘বিআরটিসি বাস সরকার ভর্তুকি দিয়ে চালায়, তারা চাইলে শিক্ষার্থীদের কম ভাড়ায় পরিবহন করতে পারবে। কিন্তু বেসরকারি খাতের জন্য এটি সম্ভব নয়।‘ শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া কার্যকর করা হলে সারা দেশের পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এনায়েত উল্লাহ। বৈঠক শেষে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ২৫ নভেম্বরের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় আজ এ বৈঠক হলো। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছেন। ঢাকা শহরে কত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কত শিক্ষার্থী, ইত্যাদি তথ্য তারা চেয়েছেন। বৈঠকে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন বাবু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, বিআরটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার মো. আশফাকসহ বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) শিক্ষার্থীদের জন্য গণপরিবহনে হাফ পাস (অর্ধেক ভাড়া) চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও বাস মালিক সমিতির মধ্যে অনুষ্ঠিত সভা কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়। ওই বৈঠকে বাস মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেহেতু সরকার বেসরকারি বাসে ভর্তুকি দেয় না সেহেতু ভাড়া কম নেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ যানজটের কারণে ট্রিপের সংখ্যা কমেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গাড়ির যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই হাফ ভাড়া নিলে লোকসান গুনতে হবে। সম্প্রতি ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে আরেক দফা বাসের ভাড়া বাড়ানো হলে শিক্ষার্থীরা আবারও হাফ পাসের দাবিতে রাস্তায় নামেন।