ঢাকা ০৯ মে, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
লালদিয়ায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে : বিডা চেয়ারম্যান দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন : রাষ্ট্রদূত মুন্সীগঞ্জে ট্রিপল মার্ডার: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন মাহফুজ-আসিফকে সরকার থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান এনসিপি নেত্রীর ১৫ মে থেকে এক মাস সদস্য সংগ্রহ করবে বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ক্ষোভ ঝাড়লেন হাসনাত আবদুল্লাহ পাকিস্তানের প্রতিশোধের ভয়ে বন্ধ ভারতের ২১ বিমানবন্দর সীমান্ত দিয়ে ১১৭ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিএসএফ সুনামগঞ্জে গুচ্ছ গ্রামের মানুষের যাতায়াত গজারিয়া নদী ইজারা না দেওয়ার দাবী

ডেঙ্গুর বিপজ্জনক ডেন-২ ধরনে আক্রান্ত ৮৭ শতাংশ শিশু

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ অক্টোবর, ২০২৩,  2:17 PM

news image

দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যেসব শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে, তাদের  ৮৭ শতাংশ ডেন-২ জিনগত ধরন দ্বারা আক্রান্ত। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও শিশু হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন হাসপাতালটির পরিচালক ও গবেষণার প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও বাকি ১৩ শতাংশ শিশু ডেন-৩ ধরন দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে।  জানা গেছে, ২০২৩ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০৩৯ জন ভর্তি শিশু রোগীর মধ্যে ৭২২ জনকে রোগতাত্ত্বিক গবেষণার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ডেঙ্গু ভাইরাসের সেরোটাইপ নির্ধারণে এবং অন্যান্য ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তকরণে ওই ৭২২ জন শিশু রোগী থেকে ১০৪ জনের রক্ত ও ন্যাজোফ্রানজিয়াল সোয়াব সংগ্রহ করে আইসিডিডিআর,বির পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়। একইসঙ্গে ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ ছিল কিন্তু এনএস-১ অথবা আইজিএম পরীক্ষায় ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি এমন ৫০ জন ভর্তি রোগীর রক্ত ও ন্যাজোফ্রানজিয়াল সোয়াবও সংগ্রহ করে আইসিডিডিআর,বির পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এনএস-১ এবং আইজিএম নেগেটিভ ৫০টি নমুনার মধ্যে আরটি পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে ১৭টি (৩৪ শতাংশ) ফলস নেগেটিভ পাওয়া যায় ও ডেঙ্গু নেগেটিভ রোগীর মধ্যে ১৯ শতাংশ রোগী এবং ডেঙ্গু পজেটিভ রোগীর মধ্যে ১২ শতাংশ রোগী অন্যান্য ভাইরাসের সংক্রমণে (ইনফ্লুয়েঞ্জা ও রেসপাইরেটরি সিনসাইটাল ভাইরাস) আক্রান্ত ছিল। জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষায় দেখা যায়, ১১৩টি ডেঙ্গু পজেটিভ নমুনায় ৮৭ শতাংশ ডেন-২ এবং ১৩ শতাংশের ডেন-৩ ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যে শিশুদের ভেতর ৮৭ শতাংশ ডেন-২ ধরনের উপস্থিতি দেখা গেছে, তার জিনগত বৈশিষ্ট্য ২০১৮ সালের ডেন-২ এর জিনগত বৈশিষ্ট্যের কাছাকাছি। এমনকি যে ১৩ শতাংশের ডেন-৩ ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, তার জিনগত বৈশিষ্ট্য ২০১৭ সালের ডেন-৩ এর জিনগত বৈশিষ্ট্যের কাছাকাছি। অনুষ্ঠানে গবেষণার প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, গবেষণার অংশ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে, যার ফলাফল হাতে পেলে আরও বেশি তথ্য আমরা উপস্থাপন করতে সক্ষম হব।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম