ঢাকা ২৫ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
সবার আগে বাংলাদেশ মেট্রোরেলের কার্ড অনলাইনে রিচার্জ চালু হচ্ছে মঙ্গলবার চট্টগ্রামে কম্বলের গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ বন্ধ হচ্ছে এনআইডি সংশোধন কার্যক্রম ব্রুনেইয়ের জালে ৮ গোল দিল বাংলাদেশ অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আর নেই নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করার কারণে খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা ঢাবি অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের কারামুক্তিতে বাধা নেই যে আইন সাংবাদিকের কলম থামিয়ে দেয়, সেই আইনের অবসান চাই: অ্যাটর্নি জেনারেল

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ নভেম্বর, ২০২৫,  2:28 PM

news image

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলা

চব্বিশের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় পড়া শুরু হয়েছে।

সোমবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার রায় পড়া শুরু করেন। তিনি বলেছেন, এই রায় ৪৫৩ পৃষ্ঠার এবং ছয় ভাগে রায় ঘোষণা হবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গত ২৩ অক্টোবর প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের আইনি যুক্তিতর্ক শেষ হলে এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ জানানোর জন্য ১৩ নভেম্বর দিন রাখেন ট্রাইব্যুনাল। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য আজকের এই দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। 

এ রায় ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমও সরাসরি সম্প্রচার করছে। 

দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কোনো সাবেক সরকারপ্রধানের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম রায় হতে যাচ্ছে। এ মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে আইনে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ অভ্যুত্থানে আন্দোলনরত ১৪০০ মানুষকে হত্যা ও ২৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হওয়ার ঘটনায় করা এ মামলায় আনা অভিযোগ প্রমাণ হলে শেখ হাসিনা এবং তার সহযোগীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড হবে নাকি অন্য কোনো সাজা দেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে সবার দৃষ্টি আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দিকে।

শেখ হাসিনা ছাড়া তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার সময়ের সর্বশেষ পুলিশপ্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলায় আসামি। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক। গণ অভ্যুত্থানে পতনের পর তারা পালিয়ে গিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন। আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বর্তমানে কারাগারে। তিনি দোষ স্বীকার করে হয়েছেন রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রুভার)। রাজসাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যও দিয়েছেন সাবেক এই আইজিপি।

আজকের এ রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারাধীন মামলাগুলোর মধ্যে প্রথম কোনো মামলার বিচারকাজ শেষ হতে যাচ্ছে। রায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাওয়ার পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালের কাছে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের আদেশ চাওয়া হয়েছে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে। আর এ দুই আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন তাদের বেকসুর খালাস চেয়েছেন।

মামলার বিবরণ : গত বছরের ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। এরপর চলতি বছরের ২৫ মে থেকে ৮ অক্টোবরের মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে যেসব মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে, তার মধ্যে জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলা আটটি। এর মধ্যে পাঁচটি মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেছেন ট্রাইব্যুনাল। বিচারাধীন পাঁচটি মামলার মধ্যে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে এ মামলাটি ট্রাইব্যুনালের দ্বিতীয় মামলা।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম