জানুয়ারিতে একাধিক শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ ডিসেম্বর, ২০২১, 10:07 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ ডিসেম্বর, ২০২১, 10:07 AM
জানুয়ারিতে একাধিক শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা
নতুন বছর শুরু হতে পারে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে। যা শেষ পর্যন্ত তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বিস্তার লাভ করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাঁচ দিন পরে শেষ হচ্ছে বছর। গতকাল রবিবার আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, বছরের শেষ দিকে তাপমাত্রা পরিবর্তনের তেমন কোনো পূর্বাভাস নেই। এছাড়া শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভেরও কোনো আশঙ্কা নেই বছরের শেষ দিনগুলোতে। তেঁতুলিয়া ছাড়া দেশের সব অঞ্চলে আগামী কয়েক দিন ১০-১৬ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ওঠা-নামা করতে পারে। আর তেঁতুলিয়াতে আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে।
তবে আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। নতুন বছরের শুরুতে শৈত্যপ্রবাহ বিস্তারের আশঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জানুয়ারি মাস যেহেতু সবচেয়ে শীতলতম মাস। সেহেতু ঐ মাসে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে শুরু হয়ে তা মাঝারি আকার ধারণ করে শেষ পর্যন্ত তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বিস্তার লাভ করতে পারে। গতকাল রবিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শীতের অনুভূতি থাকবে। ঠান্ডা অনুভূত হবে শীতের তীব্রতাও থাকবে। ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বরের দিকে রংপুর বিভাগের দুই-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পর শীতের অনুভূতি একটু বাড়বে। তিনি বলেন, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা পড়বে। সকালে কুয়াশার কারণে ভূ-পৃষ্ঠ উত্তপ্ত করতে পারছে না সূর্য, এতে রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, কুষ্টিয়া, পাবনা অঞ্চলে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তবে ঢাকায় কম।