ছাত্র আন্দোলনে নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ আগস্ট, ২০২৪, 4:35 PM

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ আগস্ট, ২০২৪, 4:35 PM
ছাত্র আন্দোলনে নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগ
গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়। এ আন্দোলনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু এ সুষ্ঠু আন্দোলনের মাঝে নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফাদার লরেন্স বাধা সৃষ্টি করেন এবং বিশ^বিদ্যলয়ের প্রধান সমন্বয়কের ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের এ আন্দোলনে শরিক হতে বলাতে নটরডেম বিশ^বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ সে সমম্বয়ককে বিভিন্ন নাম্বার হতে এবং পুলিশ দিয়ে হুমকি প্রদান করেছেন। বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন দাবীর মধ্যে ছাত্রদের ৯ দফা ছিল। কিন্তু প্রক্টরের স্বৈরাচারি আচরনের কারনে ছাত্রদের নয় দফা দাবী এক দফায় রুপ নেয়। সে এক দফা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফাদার লরেন্স এর পদত্যাগ। অবশেষে ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ২২ আগষ্ট নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফাদার লরেন্স পদত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইসা জাহান, আল মুমিত, দিন ইসলাম, নুসরাত জাহান, ফায়জুল, নাইমুল এ প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা নতুন সাত দফা দাবী রখেন। যা নিম্নরুপ: বর্তমান সময়ের এরকম সংকটময় পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বনিম্ন ৩০% বৃত্তি বরাদ্ধ করতে হবে এবং সেমিষ্টার ফি দিতে বিলম্ব হলে কোন জরিমানা করা যাবে না। সেমিষ্টার ফি তিন দফায় দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মেধাবৃত্তি ৩০% থেকে ৫০%, ২২% থেকে ৩৫%, ১৫% থেকে ২৫% করতে হবে এবং বৃত্তিতে কোনো শর্ত প্রযোজ্য হবে না। কোন শিক্ষার্থীর পারিবারিক সমস্যা থাকলে তদন্ত করে সেই অনুযায়ী বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যাম্পেসের সকল মৌলিক চাহিদা পূরন করতে হবে, যেমন: প্রত্যেক ক্লাসে প্রোজেক্টটরের স্ক্রীনের ব্যবস্থা করতে হবে। কম্পিউটার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষন করতে হবে এবং পর্যাপ্ত ইন্টারনেটর ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোটোকল অনুযায়ী মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্টের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ক্যান্টিনের খাবারের মান উন্নয়ন ও তা সুলভ মূল্য রাখতে হবে। বাহির থেকে খাবার অনুমতি দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুটিন তাদের অনুকূলে রাখতে হবে এবং ক্লাসের সময় সীমা সর্বোচ্চ বিকেল ৪টা পর্যন্ত করতে হবে। কমন রুমের ব্যবস্থা করতে হবে। আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক কোন প্রকার হয়রানী করা যাবে না, স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে. আন্দোলনের কারণে ক্লাস না হওয়ার অতিরিক্ত ক্লাস বা চাপ প্রয়োগ না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে। সেমিস্টার ফাইনাল এক্সামের পর ঝএচঅ- এর সাথে সাথে ঈএচঅ দেখাতে হবে। অনুমতি সাপেক্ষে কোর্স অনুযায়ী তার প্রাপ্ত নম্বর (মিড ফাইনাল এবং অন্যান্য নম্বর) দেখাতে হবে। যদি কোন কারণে কোন শিক্ষার্থী পরিক্ষা দিতে ব্যার্থ হয়, সেক্ষেত্রে তদন্ত করে বিকল্প পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং অতিরিক্ত ফি প্রদান করা যাবে না। কোন ফ্যাকাল্টি, অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা স্টাফ জনিত অভিযোগ থাকলে, সেটার গুরুত্ব সহকারে সঠিক তদন্ত করতে হবে এবং ফ্যাকাল্টি মূল্যায়নের সর্ব্বোচ্চ স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলাধুলার পরিবেশ নিশ্চত করতে নির্দিষ্ট স্থানসহ একটি পূর্ণাঙ্গ ক্লাব সংগঠনের অনুমোদন প্রদান করতে হবে। প্রতিিিট ক্লাবের সরঞ্জাম রাখার জন্য একটি কক্ষের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ক্লাব এর প্রোগ্রামগুলো ২ ঘন্টার পরিবর্তে প্রয়োজন অনুসারে বাড়ানোর সুযোগ করে দিতে হবে। ছাত্রীদের প্রার্থনা কক্ষের স্থান পরিবর্তন করতে হবে কারণ ছাত্র টয়লেটের পাশে এবং সেখান থেকে সিসি ক্যামরা সরাতে হবে।