গাজায় খাদ্যসঙ্কট কিছুটা কমেছে: জাতিসংঘ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২২ নভেম্বর, ২০২৫, 12:27 PM
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২২ নভেম্বর, ২০২৫, 12:27 PM
গাজায় খাদ্যসঙ্কট কিছুটা কমেছে: জাতিসংঘ
অক্টোবরের যুদ্ধবিরতির পর গাজায় আগের তুলনায় বেশি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছাচ্ছে, তবে বিপুল মানবিক চাহিদার তুলনায় তা এখনও অনেক কম বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। শীতের বৃষ্টি ইতোমধ্যেই অনেক খাদ্য নষ্ট করে দিচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলছে। জেনেভায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে গাজা থেকে ভিডিও লিংকে ডব্লিউএফপি মুখপাত্র মার্টিন পেনার বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির পর পরিস্থিতি অবশ্যই আগের চেয়ে ভালো। কিন্তু এখনও অনেক দূর যেতে হবে। পরিবারের সাস্থ্য, পুষ্টি ও জীবন পুনর্গঠনে টানা সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।’ ডব্লিউএফপি জানায়, এখনও লাখ লাখ মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। গত আগস্টে বৈশ্বিক খাদ্য মনিটরিং সংস্থা বলেছিল, উপকূলীয় এ অঞ্চলের অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। ডব্লিউএফপি’র জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র আবর এতেফা জানান, সপ্তাহের শুরুতে গাজার ভারী বৃষ্টিতে অনেক মানুষের সংগ্রহ করা খাদ্য নষ্ট হয়ে গেছে বা বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। শীত শুরু হওয়ায় এ ধরনের সমস্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ১০ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েলের নাজুক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ডব্লিউএফপি গাজায় ৪০ হাজার টন খাদ্য পাঠিয়েছে। তবে এর মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ খাদ্যপ্যাকেট বিতরণ করা গেছে—প্রায় ১৬ লাখ লক্ষ্যমানুষের মধ্যে পৌঁছানো গেছে মাত্র ৫ লাখ ৩০ হাজার মানুষের কাছে। সংস্থাটি জানায়, মাসের শুরুর দিকের লজিস্টিক জটিলতার কারণে পিছিয়ে পড়লেও এখন কিছুটা গতি ফিরছে। গাজার বাজার ধীরে ধীরে খুলে দাঁড়াচ্ছে, কিন্তু দাম এত বেশি যে অনেকেই তা কিনতে পারছেন না। যুদ্ধের সময় বহু মানুষের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। ডব্লিউএফপি জানায়, বর্তমানে একটি মুরগির দাম প্রায় ২৫ ডলার—ফলে অধিকাংশ মানুষ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। খান ইউনুসের এক নারী ডব্লিউএফপি’কে বলেন, তিনি তার সন্তানদের বাজারে নিয়ে যান না—যেন তারা খাবার দেখে কষ্ট না পায়। পেনার জানান, ‘তিনি তার সন্তানদের বলেন, বাজারের কাছে গেলে চোখ ঢেকে রাখতে।’ সূত্র: রয়টার্স