ঢাকা ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
রংপুরের তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রী হত্যার মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার কথিত সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন হারুনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর মানববন্ধন দেশ অত্যন্ত সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে : তারেক রহমান হাদিকে নেওয়া হলো এভারকেয়ারে বাড্ডায় চলন্ত বাসে আগুন গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে উদ্ধার সুফিবাদী ঐক্য ফোরামের গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪১১ আচরণবিধি নিশ্চিতে প্রতি উপজেলায় থাকবেন দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: স্বামীসহ গৃহকর্মী আয়েশা ৩ দিনের রিমান্ডে

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে ১২ দফা সুপারিশ

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫,  2:16 PM

news image

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সরকারে কাছে ১২ দফা সুপারিশমালা পেশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে ‘কর্তৃত্ববাদ পতন-পরবর্তী বাংলাদেশের গণমাধ্যম পরিস্থিতি’ এবং দুর্নীতিবিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার-২০২৫ প্রদান উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়। গণমাধ্যমের পরিস্থিতি উন্নয়ন ও স্বাধীনতা নিশ্চিতে টিআইবির সুপারিশগুলো হলো-

১. গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সকল সুপারিশ অনতিবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।

২. কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ করতে হবে।

৩. কমিশনের সুপারিশ মেনে প্রেস কাউন্সিল বিলুপ্ত করে স্বাধীন জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন গঠন করতে হবে।

৪. রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সকল গণমাধ্যমকে জাতীয় বা বাংলাদেশ সম্প্রচার সংস্থা গঠন করে, পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে।

৫. সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা ও শ্রম আইন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী করতে হবে; নিয়মিত বেতন-ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি চাকরির সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে।

৬. কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী মাঝারি ও বৃহৎ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করে সবার জন্য শেয়ার ওপেন করে দিতে হবে। আর ছোট আকারের প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের শেয়ার প্রদান বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৭. ভুয়া ও অপতথ্য মোকাবিলায় প্রতিটি গণমাধ্যমের নিউজরুমে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি প্রবর্তন করতে হবে। প্রয়োজনে ফ্যাক্ট চেকার পদে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ একাধিক কর্মী নিয়োগ দিতে হবে।

৮. প্রতিনিয়ত ভুয়া ও অপতথ্য, গুজব ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারকারী সকল গণমাধ্যমকে (অনলাইন পোর্টাল ও মেটার সকল প্ল্যাটফর্মে) প্রাথমিকভাবে সতর্কতা ও জরিমানাসহ লঘু দণ্ডের পরও অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে কিংবা মালিকপক্ষ অপ্রকাশিত থাকলে সেগুলো বন্ধ করে দিয়ে মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে প্রযোজ্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৯. ফটোকার্ড তৈরি ও প্রচারের নির্দিষ্ট মানদণ্ড তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সংবাদ সংবলিত ফটোকার্ডগুলোতে কিউআর কোড সিস্টেম বা যে কোনো পরিচয়সূচক চিহ্ন রাখতে হবে, যেন সহজেই যাচাই করা যায়।

১০. গণমাধ্যমকে নারী, আদিবাসী, সংখ্যালঘু বিষয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করা যাবে না।

১১. সকল প্রকার ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক উসকানি এবং যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলা-আঘাত থেকে সকল গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুরক্ষা প্রদান করতে হবে।

১২. সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে, স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ সুগম করতে হবে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম