খাদ্যপণ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ মার্চ, ২০২২, 11:57 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ মার্চ, ২০২২, 11:57 AM
খাদ্যপণ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ হাইকোর্টের
নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটি জানতে চেয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এ সময় ওএমএস নীতিমালা অনুযায়ী সারাদেশে চাল, আটা, তেল, পেঁয়াজ, ডাল রেশন কার্ডের মাধ্যমে দিতে বলেছেন আদালত। এছাড়া সয়াবিন তেল মজুত করার অভিযোগে আটকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এদিন, আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উৎপাদন পর্যায়ে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর আগে ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ হচ্ছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। একইসঙ্গে ভোজ্যতেল উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে বলে জানান তিনি। সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্বভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। এর আগে একইদিনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আমদানি পর্যায়ে সব ভোগ্যপণ্যের সর্বনিম্ন কর ধার্য করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ বৈঠকে এভিডেন্স অ্যাক্ট, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ছুটি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি-বাড়ি ও জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইনসহ মোট ৪টি আইনের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমাদের ধারণা এর ফলে বাজারে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে। দাম সহনীয় রাখতে রোববার (১৩ মার্চ) আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ভোক্তা পর্যায়ে নিত্যপণ্যের ভ্যাট তুলে দেওয়াসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। আন্তমন্ত্রণালয় সভায় নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় ভোজ্যতেল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে কোনো সুযোগ নিতে না পারেন, সে জন্য আগামী দু-একদিনের মধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয় ওই সভায়।