কোনো দলের লবিস্ট নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই: টিআইবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ জানুয়ারি, ২০২২, 11:52 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ জানুয়ারি, ২০২২, 11:52 AM
কোনো দলের লবিস্ট নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই: টিআইবি
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে সরকার ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দলের বৈধভাবে লবিস্ট নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ অবৈধ এবং মানি লন্ডারিং হয়ে থাকতে পারে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।বিষয়টি খতিয়ে দেখে, জনমানুষের সামনে তা প্রকাশে সরকারের সুযোগ রয়েছে। সময় সংবাদকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। সম্প্রতি র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও সরকারকে চাপে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগে লবিস্ট নিয়োগ বিতর্কে জড়িয়েছে বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। বিএনপির একাধিক নেতা বিষয়টি অস্বীকার করলেও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে লবিস্ট নিয়োগের কথা স্বীকার করে আবার তা প্রত্যাহার করেন।
সংসদে বিএনপির নেতারা এ বিষয়ে সরকারের কাছে প্রমাণ চাইলে গত বুধবার পরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন লবিং রাজনীতির বিশদ তথ্য বিবৃতি আকারে তুলে ধরেন। বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০১৪ সাল থেকে যুদ্ধপরাধীদের বিচার ঠেকানোর জন্য জোর লবিং চালিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রকে ভুল বোঝাতে লাখ লাখ ডলার খরচ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মোট ৮টি প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত টাকা পাঠানো হতো বলে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, দেশটির শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান একিন গাম্প স্ট্রসের সঙ্গে দেশবিরোধী বিষয়ে লেনদেন করেছে দলটি। যদিও আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগের পাল্টা অভিযোগও এনেছে বিএনপি। তবে এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকার চাইলে দেশের ও জনগণের স্বার্থে লবিস্ট নিয়োগ করতে পারে। বলেন , সরকার জাতীয় স্বার্থ দেশের জনগণের স্বার্থে লবিং করতে পারে এবং অর্থ ব্যয় করতে পারে। এখন যেটা দরকার, কি পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে খরচ করল সেটা প্রকাশ করলে তার একটা গ্রহণযোগ্যতা থাকে। লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আইনগত বৈধতা থাকলেও বাংলাদেশের আইনে এর সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে সরকার ব্যাংকিং চ্যানেল ও দূতাবাসের মাধ্যমে এক্ষেত্রে পেমেন্ট করতে পারলেও বিএনপি বা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে তা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বিএনপির লেনদেনে মানি লন্ডারিংয়ের ঝুঁকি থাকে বলে মনে করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। তিনি আরও বলেন, সরকার ব্যাংকিং চ্যানেল ও দূতাবাসের মাধ্যমে এক্ষেত্রে পেমেন্ট করতে পারলেও বিএনপি বা অন্য রাজনৈতিক দলের এ ধরনের সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে আমরা লেনদেনে মানি লন্ডারিংয়ের ঝুঁকি থাকে বলে মনে করি। এ ছাড়া বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সরকারের উচিত সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা মতো দিয়েছেন ইফতেখারুজ্জামান।