ঢাকা ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্রেফতার দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আর্জেন্টিনা থেকে এলো ৫০ হাজার টন গম উপদেষ্টা পরিষদে শেখ হাসিনার দোসররা আছে, বলার পরও বাদ দেয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন আসামিদের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী ফেরানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সড়ক বিভাজনে থাকা অসুস্থ বৃদ্ধের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইউএনও দিচ্ছেন চিকিৎসাসেবা বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পেলেন প্রধান উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিল শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া

করোনা রোগীর মরদেহ মর্গে পড়ে ছিল ১৫ মাস ধরে!

#

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০১ ডিসেম্বর, ২০২১,  10:39 AM

news image

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রায় ১৫ মাস পর একটি পরিবার জানতে পেরেছে, তাদের স্বজনের মরদেহ সৎকার হয়নি বরং তা হাসপাতালের মর্গে পচছে। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস'র। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর পর রোগীর মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পরিবর্তে নিজেরাই সৎকার করেছে ভারতের প্রশাসন।  গত বছর জুলাই মাসে ৪০ বছরের দুর্গা সুমিতা এবং ৫০ বছরের মণিরাজু কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

সে সময় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি থাকায় হাসপাতালে মিলছিল না শয্যা। অনেক হাসপাতাল ঘোরার পর তারা ভর্তি হয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর রাজাজিনগরে অবস্থিত ইএসআই হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাদের। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সে সময় বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা (বিবিএমপি) এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহ তাদের দেয়নি বলে জানান দুর্গার পরিবারের লোকেরা। কোভিড সংক্রমণের ভয় থাকায় দেহ সৎকার করে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল হাসপাতালের পক্ষ থেকে। এই ঘটনার পর প্রায় ১৫ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি দুর্গার আত্মীয়রা ফোন পেয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। সেখানে তখন জানানো হয়েছে দুর্গা এবং মণিরাজুর দেহ সৎকার হয়নি। মৃত্যুর পর থেকে তা মর্গেই রয়েছে। দুর্গার বোন সুজাতা বলেছেন, ‘গত বছর দুর্গার কোভিড হয়েছিল। আমরা অনেক খুঁজেও হাসপাতাল খালি পাইনি। কেবলমাত্র ইএসআই হাসপাতালে খালি শয্যা ছিল। সেখানে ভর্তির চার দিন পর মৃত্যু হয় তার।’ তিনি বলেছেন, ‘করোনায় মৃত্যু হওয়ায় আমাদের মরদেহ দেওয়া হয়নি। বিবিএমপি-র পক্ষ থেকে তখন আমরা ফোন পেয়েছিলাম। বলা হয়েছিল দেহের সৎকার হয়ে গিয়েছে। তিন দিন আগে ফোনে আমাদের জানানো হয়, দেহ মর্গে রয়েছে এবং তা পচে যাচ্ছে। আমার ভয় করছে। বুঝতে পারছি না এটা ঠিক না ভুল।’ এদিকে মণিরাজুর ছেলে সতীশও ফোন পেয়ে চমকে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম