ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে হলুদ
লাইফস্টাইল ডেস্ক
৩১ আগস্ট, ২০২৪, 3:00 PM
লাইফস্টাইল ডেস্ক
৩১ আগস্ট, ২০২৪, 3:00 PM
ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে হলুদ
ব্যস্ততম জীবনে শরীরচর্চা বলতে সারা দিনে কয়েকবার সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা এবং একটু হাঁটাহাঁটি। এ ছাড়া খুব বেশি কিছু করার সময় বা সুযোগ পাওয়া যায় না। কিন্তু, এ দিকে প্রতিদিন অফিসে ৮-১০ ঘণ্টা চেয়ারে বসে থাকতে হয়। যার ফলে ঘাড়-কাঁধের নমনীয়তা কমে যাচ্ছে। বাড়ছে পেটের মেদ। তবে আপনার এই সমস্যা সমাধান করতে পারে একটি উপাদান। যা আপনার রান্নাঘরেই রয়েছে। আর সেটি হচ্ছে হলুদ। হলুদ রান্নার কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি অনেক স্বাস্থ্য সুবিধার জন্যও পরিচিত। কিন্তু আপনি কি জানেন এটি আপনার ওজন কমাতেও কার্যকরী। হ্যাঁ, ঠিকই ভাবছেন হলুদের সক্রিয় যৌগ কারকিউমিনের মধ্যে প্রদাহবিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মেদ ঝরাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এবার জেনে নেওয়া যাক হলুদের মধ্যে এমন কী আছে:
১. প্রদাহজনিত পুরনো কোনো সমস্যা থাকলে বিপাকহারও কমতে শুরু করে। যে কারণে ওজন বেড়ে যেতেই পারে। হলুদের মধ্যে থাকা ‘কারকিউমিন’ কিন্তু খুব কার্যকরী একটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। প্রদাহনাশ করতে হলুদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
২. শরীরে মেদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার আরও একটি ‘ফ্যাক্টর’ হল ইনসুলিন হরমোন। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলে ওজনের ওপর তার প্রভাব পড়বেই। কাঁচা হলুদ খেলে ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি ভালো হয়।
৩. শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের পরিমাণ বাড়তে থাকলেও বিপাকহারের মান খারাপ হতে শুরু করে। ফলে বিপাকহারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সমস্যাগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ‘সায়েন্টিকা ফার্মাসিউটিকা’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যেহেতু ‘কারকিউমিন’ এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তাই এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ।
মশলা ছাড়া হলুদ আরও যেভাবে খাওয়া যায়:
হলুদ বেশিরভাগ রান্নাতেই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কাঁচা হলুদের গন্ধ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ পানিতে এক চিমটি হলুদ এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। স্মুদিতেও এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন।