ইসি গঠনে দেরি হলেও শূন্যতা সৃষ্টি হবে না: আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 3:50 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 3:50 PM
ইসি গঠনে দেরি হলেও শূন্যতা সৃষ্টি হবে না: আইনমন্ত্রী
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন না হলেও কোনো আইনি শূন্যতা তৈরি হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আইনের মাধ্যমেই এটা বন্ধ হয়েছে। এখন একটি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজ চলছে। সেখানে যারা নাম দেয়নি তাদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই আমি রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা লেখা বিশেষ এনআইডি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আনিসুল হক।
আগামীকাল সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে-এ সময়ের মধ্যে নতুন কমিশন গঠিত না হলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানে কিংবা আইনে এ ধরনের কোনো শূন্যতার কথা নেই। সে জন্য কাল এই কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে এবং তারপরও যদি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে একটু বিলম্ব হয় তাহলে আইনে শূন্যতা হিসাবে গণ্য হবে না। মেয়াদ শেষ হলে তারা অফিসিয়াল কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কি না-জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, তারা সেটা পারবেন না। কারণ সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে তারা পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করবেন। পাঁচ বছর শেষ হয়ে গেলে এমন কথা নেই যে যারা স্থলাভিষিক্ত হবেন তারা না আসা পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন। এ সময়ে তো ইলেকশন কমিশন বন্ধ হয়ে যাবে না। অ্যাডমিনিস্টেটিভ দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু নতুন নির্বাচন কমিশন আসলেই কোনো নির্বাচনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবে। এ কমিশন তার যে দায়িত্ব সেটা যথাযথ পালন করতে পেরেছে। সার্চ কমিটিতে বিএনপি কেন মতামত দিচ্ছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংসদ আইন পাস করে সার্চ কমিটি গঠন করেছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে গত ২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে এ বছরের ১৭ জানুয়ারির পর্যন্ত যে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ হয়েছে, সেই রাজনৈতিক দলগুলো এবং যে দলগুলো সংলাপে যায়নি আজকে যারা সার্চ কমিটিতে যায়নি সবারই কিন্তু একটা দাবি ছিল একটা নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন করা উচিত। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশে করে বলেন, গণতন্ত্রের কথাই হচ্ছে সংলাপ। সেখানে প্রত্যেকবারই কোনো পদক্ষেপকে যদি তারা ইতিবাচকভাবে না নিয়ে নেতিবাচকভাবে নেয় তাহলে আমার মনে হয় জনগণ সেটিকে গণতান্ত্রিক বলে মনে করবে না। আনিসুল হক বলেন, স্বাধীনতার পর বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশে অনেক সরকার এসেছে, কিন্তু কেউ এ আইন করার সাহস দেখায়নি যা দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন নির্বাচন কমিশনকে এভাবেই সহযোগিতা করে যাবে। আইনমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়, যা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রচনা করেছিলে মুক্তিযোদ্ধারা। তারা আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, মর্যাদা দিয়েছেন। জাতিকে দিয়েছে বীরত্বের তকমা। তাদের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান তুলে ধরতে হবে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাসহ অন্যান্য কমিশনার, মুক্তিযোদ্ধা ও বরেণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।