ঢাকা ২৭ জুলাই, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চাকরি ছাড়লেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ গ্রেপ্তার ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি রাজধানীতে সহিংসতা-নাশকতার অভিযোগে ২০১ মামলা, গ্রেপ্তার ২২০৯ স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১১ আগস্টের পর ইন্টারনেট ছাড়াই ফাইল পাঠানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক মারা গেছেন মির্জা ফখরুল মিথ্যা তথ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের আবারও উসকানি দিচ্ছেন: ওবায়দুল কাদের

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মুশতাক

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩,  3:37 PM

news image

রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের মামলায় ওই স্কুলের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। এসময় তার সঙ্গে আদালতে সেই ছাত্রীও উপস্থিত ছিলেন। ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পেলেন মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৮-এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন ওই ছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন মুশতাক। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে মুশতাক ও সেই ছাত্রী আদালত থেকে চলে যান। এ মামলায় এর আগে গত ৪ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ মুশতাকের ছয় মাসের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। মঙ্গলবার সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আত্মসমর্পণ করে ফের জামিনের আবেদন করেন তিনি। আদালত শুনানি শেষে তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন এবং মামলার অপর আসামি ওই কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে এ মামলা করেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ওসিকে অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। এরপর গুলশান থানায় মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়। মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক আহমেদ বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ওই শিক্ষার্থীকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে নিতেন এবং খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে তাকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাতেন। কিছুদিন পর মুশতাক তাকে কু-প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবেন বলে হুমকি দেন। মুশতাকের এরকম আচরণ সম্পর্কে ভুক্তভোগী তার কলেজের অধ্যক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। অধ্যক্ষ ব্যবস্থা করছি বলে মুশতাককে তার রুমে ডেকে নেন। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রীকেও ক্লাস থেকে রুমে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। বাদীর অভিযোগ, এ বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে প্রতিকার চাইতে গেলে তিনি কোনও সহযোগিতা করেননি বরং মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতেন। উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন মেয়েকে তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর তিনি জানতে পারেন, আসামি ভুক্তভোগীকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করছেন।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম