আজ জাতীয় গণহত্যা দিবস
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ মার্চ, ২০২২, 10:00 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ মার্চ, ২০২২, 10:00 AM
আজ জাতীয় গণহত্যা দিবস
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। এদিন রচিত হয় মানব ইতিহাসের বর্বরতম অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এইদিনে মধ্যরাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট-এর নামে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজধানীসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাত তখন সাড়ে ১১টা। ঢাকাবাসী ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ঠিক সে সময় সেনানিবাস থেকে একে একে বেরিয়ে আসে ট্যাঙ্ক কামানসহ সাঁজোয়া বহর। মুক্তিকামী বাঙালীকে চিরতরে স্তব্ধ করতে পাকিস্তানি শাসকরা নিরীহ মানুষ হত্যায় সৈন্যদের লেলিয়ে দেয়। অপারেশন সার্চ লাইটের নামে ঐ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালী হত্যায় মেতে ওঠে। ঢাকা পরিণত হয় লাশের শহরে।এভাবে রাতের আঁধারে ঘুমন্ত মানুষের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রসজ্জিত কোনও বাহিনীর আক্রমণের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। প্রথম আক্রমণ হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইনে।
বাঙ্গালি পুলিশ সদস্যরা প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয় রাজারবাগ। ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যায় পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে যোগ দেয়, এদেশীয় রাজাকার,আলবদর আর আলশামস বাহিনী। আক্রমণ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ধানমন্ডি, পলাশীসহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায়। সেদিন নিরীহ মানুষদের হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি পাকিস্তানি সেনারা। জ্বালিয়ে দেয়া হয় ঘর বাড়ি আর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সেনা অভিযানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, একরাতেই প্রায় এক লক্ষ বাঙালী হত্যা করে পাকিস্তানিরা। অতীতে বাংলাদেশে গণহত্যার দিবসটি উপেক্ষিত হলেও বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে। ২০১৭ সাল থেকে জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবস পালনে ইতিহাসের দায় হয়তো কিছুটা মিটেছে, তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চ্যালেঞ্জ দিন দিন বাড়ছে। গণহত্যার সাথে জড়িত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যদের বাঙালি নিধনের দায়ে বিচারের মুখোমুখি করা এখন প্রজন্মের দাবি।