ঢাকা ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
দ্রুত নির্বাচন না হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে: রিজভী বিভিন্ন দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাবি শিক্ষার্থীরা সাদা পোশাকে সেঞ্চুরি করে ইতিহাসের পাতায় জ্যোতি বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ীই শেখ হাসিনাকে ফেরানো যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন স্ত্রী, কন্যাসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চিরনিদ্রায় শায়িত উপদেষ্টা হাসান আরিফ দুর্নীতির অভিযোগে যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে: পরিবেশ উপদেষ্টা হিলিতে কমেছে আলু-পেঁয়াজের দাম

অরিত্রীর আত্মহত্যা: দ্বিতীয়বারের মতো পেছাল দুই শিক্ষকের রায়

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪,  3:21 PM

news image

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় দুই শিক্ষিকার রায়ের তারিখ দ্বিতীয়বারের মতো পিছিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ১২-এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এ রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় এদিন রায় ঘোষণা করেননি আদালত। রায়ের নতুন তারিখ পড়বে বলে জানানো হয়। মামলার দুই আসামি হলেন নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার। গত ২১ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। কিন্তু ওইদিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন আদালত। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর একই আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ধার্য করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এরপর ২০১৯ সালের ২০ মার্চ ওই দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। আসামিদের নির্দয় ব্যবহারে অরিত্রী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়। একই বছরের ১০ জুলাই ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ২৫ নভেম্বর এ মামলার বাদী ও অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপরে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট অরিত্রী মা বিউটি অধিকারী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এ মামলার ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে— এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম