ঢাকা ১৯ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
মনতলা মাধবপুরে ২০ টি দেশীয় বন্যপাখি উদ্ধার বিক্ষোভ মিছিলে সজিব'র নির্দেশনায় সোনারগাঁ যুবদলের যোগদান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির প্রতিবাদে ঢাকা জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল গোপালগঞ্জের সহিংসতা: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ভয়াবহ দুর্যোগের কবলে পাকিস্তান, ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ জনের মৃত্যু এনসিপির ওপর হামলা পরিকল্পিত: বিএনপি চরফ্যাশন অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি উদ্যোগে আর্থিক সাক্ষরতা দিবস পালিত টানা ৫ দিন ভারী বর্ষণের শঙ্কা দেশে ফিরেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল গোপালগঞ্জের ঘটনায় জড়িত কেউ ছাড় পাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

টানা বৃষ্টি: খাগড়াছড়িতে পাহাড়ধস ও বন্যার শঙ্কা

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ জুলাই, ২০২৫,  2:29 PM

news image

কয়েকদিন ধরে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে জেলার প্রধান নদ-নদী, ছড়া ও খালের পানি।  বুধবার (৯ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাইনী ও চেঙ্গি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কিছু নিচু এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের শঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায়। স্থানীয়রা শঙ্কা করছেন, বৃষ্টি যদি এমনভাবে অব্যাহত থাকে, তাহলে যে কোনো সময় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, শালবাগান ও আশেপাশের নিচু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চেঙ্গি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। নদীর পানি উপচে লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে।

এতে বেশ কিছু পরিবারের ঘরবাড়ি ও আঙিনায় পানি প্রবেশের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ দিকে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং এলাকার পরিস্থিতিও একই রকম। মাইনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বড় মেরুং স্টিল ব্রিজ এলাকার সড়কে ইতোমধ্যে পানি উঠে গেছে।  মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দারা জানান, এভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে চেঙ্গি নদীর পানিতে তাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে যেতে পারে। অপরদিকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার শালবাগান, কলাবাগান ও সবুজবাগ এলাকার শত শত পরিবার। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা এসব পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় বলেন, শালবাগান, কলাবাগান, সবুজবাগ এলাকায় ৩ থেকে ৪ শতাধিক পরিবার পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। টানা বৃষ্টির কারণে যেকোনো সময় পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে তাদের শালবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশু প্রাইমারি স্কুলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে পরিস্থিতি খারাপ হলে দ্রুত সবাইকে নিরাপদে সরানো যায়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন কাজ করছেন। উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ সহায়তার প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম