ঢাকা ১৯ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
মনতলা মাধবপুরে ২০ টি দেশীয় বন্যপাখি উদ্ধার বিক্ষোভ মিছিলে সজিব'র নির্দেশনায় সোনারগাঁ যুবদলের যোগদান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির প্রতিবাদে ঢাকা জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল গোপালগঞ্জের সহিংসতা: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ভয়াবহ দুর্যোগের কবলে পাকিস্তান, ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ জনের মৃত্যু এনসিপির ওপর হামলা পরিকল্পিত: বিএনপি চরফ্যাশন অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি উদ্যোগে আর্থিক সাক্ষরতা দিবস পালিত টানা ৫ দিন ভারী বর্ষণের শঙ্কা দেশে ফিরেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল গোপালগঞ্জের ঘটনায় জড়িত কেউ ছাড় পাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অবশেষে শক্তিশালী সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান

#

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২২ জুন, ২০২৫,  5:04 PM

news image

যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পাল্টা জবাবে আলোচিত সেই আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। হামলায় তেল আবিবসহ ১০ অঞ্চল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ডের বরাত দিয়ে রোববার (২২ জুন) বিবিসি জানায়, ইসরায়েলের ওপর সাম্প্রতিক হামলায় প্রথমবারের মতো ‘খায়বার’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইরান। খায়বার ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের সবশেষ মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে একটি। আনুষ্ঠানিকভাবে খোররামশহর-৪ নামে পরিচিত। এটি দেশীয়ভাবে উৎপন্ন খোররামশাহর ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের ফোর্থ জেনারেশন। ২ হাজার কিলোমিটার পাল্লার খায়বার ক্ষেপণাস্ত্র দেড় হাজার কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম, যা ইরানের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভারী ওয়ারহেডগুলির মধ্যে একটি এটি। তরল জ্বালানিচালিত এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে উড়ন্ত অবস্থায়েই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর পাশাপাশি বায়ুমণ্ডলের বাইরে ওয়ারহেডের গতিপথ সামঞ্জস্য করার সক্ষমতাও রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির। ইরানে নির্মিত এর আগের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর তুলনায় অনেকটাই নির্ভুলভাবে লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এটি। প্রযুক্তিগতভাবে খায়বারের সর্বোচ্চ গতি বায়ুমণ্ডলের বাইরে আনুমানিক ম্যাক ১৬। যা শব্দের গতির ১৬ গুণ এবং এর ভেতরে আনুমানিক ম্যাক ৮। প্রযুক্তিগতভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র এতটাই শক্তিশালী যে প্রচলিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো বেশ কঠিন। উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা। হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও দশজন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ ৪০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে  হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। চলমান এই সংঘাতের মধ্যে ২১ জুন দিনগত রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।


logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম