
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ জুলাই, ২০২৫, 12:36 PM

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে ধর্ষণ: হাইকোর্টে এসপির প্রতিবেদন
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীর ধর্ষণের ঘটনায় তার নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি)। রোববার (২৭ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারী বর্তমানে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সরাসরি তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তার বাসস্থানে পুলিশ নিয়মিত দিনরাত টহল দিচ্ছে। এই ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়। এর আগে গত ২২ জুলাই হাইকোর্টে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল না করায় কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে তলব করেন আদালত। আগামী ১২ আগস্ট তাঁকে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। গত ২৯ জুন হাইকোর্ট ধর্ষণের শিকার ওই নারীর নিরাপত্তা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২৬ জুন রাতে কুমিল্লার মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ফজর আলীকে এলাকাবাসী আটক করে পিটুনি দেয়। পরে তিনি পালিয়ে যান। ঘটনার সময় উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি ওই নারীর ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয় এবং নির্যাতিতা নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।