ঢাকা ২৭ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ড. ইউনূসের নামে মানহানি মামলার কার্যক্রম বাতিলের রায় বহাল দাবি আদায়ে ৭২ ঘণ্টা পরিবহন বন্ধের হুঁশিয়ারি মালিকদের কাল যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাজের গতি বাড়াতে যেসব নির্দেশনা দিলো মন্ত্রণালয় নোয়াখালীতে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু বগুড়ায় ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ ইউরোপের তিন দেশে কমিটি দিল এনসিপি গাজায় প্রথমবারের মতো বিমান থেকে ত্রাণ ফেলল আইডিএফ ‘জাতিসংঘের কার্যালয় খোলা মানেই দেশের পরিস্থিত খারাপ নয়’: মৎস্য উপদেষ্টা সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৪৬ বোতল ভারতীয় মদসহ ছয় লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ

ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যা: মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেছালো আরও এক মাস

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ জুলাই, ২০২৫,  11:00 AM

news image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জল হোসেন পিটিয়ে হত্যার মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ধার্য করেন।এদিন তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। শাহবাগ থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক জিন্নাত আলী এ তথ্য জানান। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

১৯ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান। চার্জশিটে প্রতিষ্ঠানের ২১ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করা হয়। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশের দেওয়া চার্জশিটে নারাজি দাখিল করেন অ্যাডভোকেট সেলিম জাবেদ। মামলার তদন্ত সুষ্ঠু হয়নি বলে তিনি এ নারাজি দাখিল করেন। শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করেন।

তবে ওইদিন তা পিছিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়। পরে আবারও তা পিছিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলাটি পিবিআইকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন– ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, ভূগোল বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ, ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ, ওয়াজিবুল আলম, ফিরোজ কবির, আব্দুস সামাদ, শাকিব রায়হান, ইয়াসিন আলী, ইয়ামুজ্জামান ইয়াম, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান, রাতুল হাসান, সুলতান মিয়া, নাসির উদ্দিন, মোবাশ্বের বিল্লাহ, শিশির আহমেদ, মহসিন উদ্দিন ও আব্দুল্লাহহিল ক্বাফি। তাদের মধ্যে প্রথম ছয় জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

মামলার এজাহারে মোহাম্মদ আমানুল্লাহ উল্লেখ করেন, ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তোফাজ্জলের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নে। এর কয়েকদিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর ফজলুল হক মুসলিম হলে প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ মাসুমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিহতের ফুফাতো বোন আসমা আক্তার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলার সঙ্গে এ মামলা একইসঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেন। এ মামলায় শাহ মুহাম্মদ মাসুম বাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, ফিরোজ কবির, আবদুস সামাদ, মোত্তাকিন সাকিন শাহ, আল হোসাইন সাজ্জাদ, ওয়াজিবুল আলম, আহসান উল্লাহ, ফজলে রাব্বি, ইয়ামুস জামান, রাশেদ কামাল অনিক, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান ও মো. সুলতানকে আসামি করা হয়।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম