ঢাকা ২৯ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ১০ আগস্ট, চূড়ান্ত ৩১ আগস্ট হাসিনা এখনো প্রতিশোধপরায়ণ: আসিফ নজরুল জাতীয় সরকার গঠন ও নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: চীনা রাষ্ট্রদূত বৃহস্পতিবারের মধ্যে জুলাই সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারব : আলী রীয়াজ বঙ্গোপসাগরের ভূমিকম্পে কেঁপেছে ভারত ক্ষমতায় গেলে শহীদ পরিবারদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেবে বিএনপি মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: আগামী শনিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শিক্ষা কার্যক্রম থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে মাহফুজের পোস্ট ইউপিডিএফ’র আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান, গুলি বিনিময়

শ্রীলঙ্কায় নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান গ্রেফতার

#

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৯ জুলাই, ২০২৫,  10:40 AM

news image

১৫ বছর আগে এক ব্যক্তি অপহৃত ও নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় শ্রীলঙ্কায় নৌবাহিনীর সাবেক প্রধানকে গ্রেফতার করেছে দেশটির তদন্তকারীরা। নাম না প্রকাশের শর্তে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, নৌবাহিনীর গোয়েন্দা শাখার প্রধান থাকা অবস্থায় ২০১০ সালে একজন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সোমবার অ্যাডমিরাল নিশান্ত উলুগেটেন্নেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এএফপি। নিশান্ত উলুগেটেন্নে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে নৌবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর কিউবায় শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে বুধবার পর্যন্ত রিমান্ডে রাখা হয়েছে তাকে। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ‘২০১০ সালে ৪৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে আমরা তার কাছ থেকে জবানবন্দি নিয়েছি এবং পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’

এই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে এমন এক তদন্তের ধারাবাহিকতায়, যার লক্ষ্য নৌবাহিনীর আরেক সাবেক প্রধান ওয়াসন্থা করন্নাগোদাকে নিয়ে। তিনি শ্রীলঙ্কার ৩৭ বছরব্যাপী তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী যুদ্ধ চলাকালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি একাধিকবার জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে উত্থাপিত হয়েছে, যেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘাত চলাকালে সংঘটিত নৃশংসতার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে করন্নাগোদার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনে যুক্তরাজ্য।

শ্রীলঙ্কায় জাতিগত যুদ্ধ ২০০৯ সালে শেষ হয়। শ্রীলঙ্কা সরকার ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে করন্নাগোদার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়, যেখানে অন্তত ১১ জনের নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্ত একটি মামলার কথা ছিল। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ১১ জন পুরুষকে অপহরণ ও হত্যা করার অভিযোগ ছিল করন্নাগোদার বিরুদ্ধে। এসব ঘটনার পেছনে তাদের আত্মীয়দের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্য ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। আদালতের ২০১৯ সালের নথিপত্র অনুযায়ী, ১১ জন ভুক্তভোগী শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনীর অবৈধ হেফাজতে নিহত হন, যদিও তাদের মরদেহ কখনো পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীরা মনে করেন,

অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত শিকারের সংখ্যা এর চেয়ে অন্তত তিন গুণ বেশি হতে পারে। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। শুধু ধনী পরিবারের সদস্য হওয়ায় তাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছিল। সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলাকালীন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। তামিল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযান পরিচালনার শেষ দিকে শ্রীলঙ্কার বাহিনী গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটায় বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি। ওই সময়কালে ৪০ হাজার পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের এক প্যানেল।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম