ঢাকা ০২ আগস্ট, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনের ঘোষণা আসবে কিছুদিনের মধ্যেই: আইন উপদেষ্টা সুন্দরবনের মাউন্দে নদীতে কোস্ট গার্ডের অভিযান, একনলা বন্দুক ও কার্তুজ জব্দ বিএনপি ক্ষমতার যাওয়ার জন্য অস্থির নয় : মির্জা ফখরুল ‎জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আগামী ৫-৬ দিন সরকারের জন্য খুবই ক্রুশিয়াল টাইম: প্রেস সচিব মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন আরও ৩ জন ফরিদপুরে ইজিবাইকচালককে হত্যা, ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড সরকারি চাকরিজীবীদের বাসা বরাদ্দ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের সম্ভাবনা শিবির নেতা সাদিক কায়েম সমন্বয়ক ছিলেন না : নাহিদ ইসলাম

মিয়ানমারের ‘দুর্লভ খনিজে’ চোখ যুক্তরাষ্ট্রের

#

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩১ জুলাই, ২০২৫,  10:47 AM

news image

মিয়ানমারের ‌‘বিরল খনিজ’ সম্পদে আগ্রহী হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। খনিজসম্পদে চীনের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে ট্রাম্প প্রশাসন এবার নতুন করে মনোনিবেশ করেছে মিয়ানমারের কাচিন অঞ্চলে। অঞ্চলটির জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) নিয়ন্ত্রণে আছে বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ ভারী বিরল খনিজের মজুদ। খবর রয়টার্সের। হোয়াইট হাউজ এখন এমন কিছু প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে, যা বাস্তবায়ন হলে দীর্ঘদিনের যুক্তরাষ্ট্র-মিয়ানমার নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। সূত্র জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরে এখন দুটি ধরনের মত উঠে এসেছে। একটি পক্ষ বলছে,

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের (জান্তা) সঙ্গে কথা বলে কাচিন বিদ্রোহীদের (কেআইএ) সঙ্গে শান্তিচুক্তি করিয়ে খনিজ উত্তোলনের পথ খুলে দিতে হবে। অন্যপক্ষ চাইছে জান্তার সঙ্গে কথা না বলে সরাসরি কাচিন বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করুক। কাচিন অঞ্চলেই মিয়ানমারের সবচেয়ে বেশি ‘দুর্লভ’ খনিজের মজুত রয়েছে। এই খনিজ দিয়ে যুদ্ধবিমান ও উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্র তৈরি হয়। চীন এই খনিজ ব্যবহার করে বৈশ্বিক বাজারে বড় অংশ দখল করে রেখেছে।

জানা গেছে, চলতি মাসেই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের অফিসে আয়োজিত এক বৈঠকে মিয়ানমারের খনিজ পদার্থ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে মিয়ানমারে ব্যবসা ও নিরাপত্তা খাতে কাজ করা কয়েকজন ব্যক্তি অংশ নেন। তারা পরামর্শ দেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলে মধ্যস্থতা করে মিয়ানমারে একটি আঞ্চলিক শান্তিচুক্তি করাতে পারে, যেটা খনিজ উত্তোলনের পথ খুলে দেবে। তবে এখনো এসব বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। হোয়াইট হাউজ আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। মার্কিন কর্মকর্তারা শুধু বলেছেন, মিয়ানমার নিয়ে নীতিগত পর্যালোচনা চলছে এবং এখনই জান্তার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে না।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম