বোনের পর ভাই নাফিও চলে গেল
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ জুলাই, ২০২৫, 11:05 AM

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ জুলাই, ২০২৫, 11:05 AM

বোনের পর ভাই নাফিও চলে গেল
উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বোন নাজিয়ার পর মৃত্যু হয়েছে তার ভাই নাফির (৯)। সে উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে(আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। জানা যায়, নাজিয়া ও নাফি বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় থাকত। নাজিয়া তৃতীয় শ্রেণীতে আর নাফি প্রথম শ্রেণীতে পড়ত। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘উত্তরা বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ নাফি রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যায়। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ ফ্লেইম বার্ন হয়েছিল। এর আগে সোমবার রাত ৩টার দিকে তার বোন নাজিয়া মারা যায়। তার শরীরের ৯০ শতাংশ বার্ন হয়েছিল। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমাদের এখানে ১১ জন শিক্ষার্থী-শিক্ষক মারা গেল। এছাড়া ঢাকা মেডিকেলের বার্নে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।’ উল্লেখ্য, উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিক্ষিকা মাসুকা। ভোর রাতের দিকে ৯ বছরের শিশু বাপ্পি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইতে মারা যায়। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। মধ্যরাতে আরও চার শিক্ষার্থী মারা যায়। এই চারজনের মধ্যে এরিকসন শরীরের ১০০ শতাংশ, আরিয়ানের শরীরের ৮৫ শতাংশ, নাজিয়ার শরীরের ৯০ শতাংশ এবং সায়ান ইউসুফ এর শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ, সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আফনান ফাইয়াজ, মাইলস্টোনের প্রাইমারি সেকশনের হেড কো-অর্ডিনেটর মাহেরীন চৌধুরী ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সামিন মারা যায়।