ঢাকা ০১ আগস্ট, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনের ঘোষণা আসবে কিছুদিনের মধ্যেই: আইন উপদেষ্টা সুন্দরবনের মাউন্দে নদীতে কোস্ট গার্ডের অভিযান, একনলা বন্দুক ও কার্তুজ জব্দ বিএনপি ক্ষমতার যাওয়ার জন্য অস্থির নয় : মির্জা ফখরুল ‎জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আগামী ৫-৬ দিন সরকারের জন্য খুবই ক্রুশিয়াল টাইম: প্রেস সচিব মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন আরও ৩ জন ফরিদপুরে ইজিবাইকচালককে হত্যা, ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড সরকারি চাকরিজীবীদের বাসা বরাদ্দ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের সম্ভাবনা শিবির নেতা সাদিক কায়েম সমন্বয়ক ছিলেন না : নাহিদ ইসলাম

নওগাঁয় মহাসড়কে আলু ফেলে চাষিদের বিক্ষোভ

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

৩০ জুলাই, ২০২৫,  1:59 PM

news image

ধান-গমের মতো আলুর সরকার কতৃক মূল্য নির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নওগাঁর আলু চাষিরা। বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের সামনে দাড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার কৃষক পরিবার এবং আলু ব্যবসায়ী পরিবারের ব্যানারে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কৃষকরা বলেন, বাজারে আলুর দাম উৎপাদন খরচের অর্ধেকেরও নিচে। প্রতি কেজি আলুতে ১৭-১৮ টাকা লোকসান হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাংক এবং এনজিও থেকে ঋণ করে আলু চাষ করায় বাজারে দাম না পয়ে সেই টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না। এমন অবস্থায় সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন আলু চাষিরা। নওগাঁ সদর উপজেলার চকবাড়িয়া গ্রামের কৃষক হামিদুর রহমান বলেন,

সার ফসফেটের দাম অনেক বেশি। সেই হিসাবে শুরু থেকেই এ বছর আলুর দাম নেই। খরচের টাকায় উঠছে না। ধান চালের সরকারি মূল্য নির্ধারণ করতে পারলে আলুর কেনো হবে না? সরকারের কাছে দাবি জানাই দ্রুত আলুর মূল্য যেনো নির্ধারণ করে দেয়। সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের আরেক কৃষক ইয়াসিন আলী বলেন, বাজারে ধানের দাম বেশি, চালের দামও বেশি। কিন্তু আলুর কোনো দাম নেই। হিমাগারেও খরচ বেশি নেওয়া হচ্ছে। এক মণ আলু চাষ করতেই ১২০০-১৩০০ টাকা করে খরচ হয়েছে। বাজারে এখন আলু বিক্রি করতে হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা মণ। তাহলে আমরা যাবো কোথায়? সরকার যদি আমাদের জন্য কোনো উদ্যোগ না নেয় তাহলে আমরা শেষ হয়ে যাবো।

শহরের বালুডাঙ্গা এলাকার আলু চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, গরু বিক্রি করে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে লাভের আশায় আলু চাষ করেছিলাম। কিন্তু বাজারে এখন আলু বিক্রি হচ্ছে না। হিমাগারে প্রতি কেজি আলুতে আগের থেকে ৪ টাকা করে বেশি দিতে হচ্ছে। এক কেজি আলু উৎপাদনসহ হিমাগারে রাখতে ২৫-২৬ টাকা খরচ হচ্ছে। বাজারে পাইকারি দরে ১১-১২ টাকার বেশি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না। ঋণের টাকা পরিশোধ করা তো দূরের কথা খরচের টাকা উঠানো নিয়েই এখন চিন্তার মধ্যে আছি। এ বিষয়ে নওগাঁ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বিপণন কর্মকর্তা সোহাগ সরকার বলেন, এ বছর ফলন ভালো হওয়ায় আলুর উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। বছরের এই সময়টাতে অন্যান্য সবজি বাজারে বেশি থাকায় মানুষ আলু কম কিনে। সরকারের পক্ষ থেকে ওএমএস অথবা টিসিবির মাধ্যমে আলু বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম