আজও প্রবেশে কড়াকড়ি বার্ন ইনস্টিটিউটে
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ জুলাই, ২০২৫, 11:03 AM

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ জুলাই, ২০২৫, 11:03 AM
আজও প্রবেশে কড়াকড়ি বার্ন ইনস্টিটিউটে
উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে বেশির ভাগ আহতদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। এর ফলে এই কয়দিন সেখানে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়্র মতো ছিল। তবে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই কঠোর অবস্থান নিয়ে গেটে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে সেনাবাহিনী। আজ বুধবার লোকসমাগম একেবারে নেই বললেই চলে। এদিন সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটে শুধু বিমানে বিধ্বস্ত হতাহতদের স্বজন ছাড়াও অন্যান্য রোগীদের আত্মীয়-পরিজন ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের দেখা গেছে। হাসপাতালের প্রবেশ পথে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন গেটে আনসার, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কঠোর নজরদারিতে দায়িত্ব পালন করছেন। এমনকি আজ গণমাধ্যমকর্মীদেরও নিচে কিংবা ভেতরে অবস্থান করতে দেওয়া হয়নি। মূলত অতিরিক্ত কোলাহল ও জনসমাগম এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাড়তি ভিড়ে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তাই আজ সকাল থেকেই কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেবল হাসপাতালের স্টাফ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাই নিজ নিজ পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছেন।’ তবে, হাসপাতাল চত্বরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ‘হেল্প ডেস্ক’ লেখা থাকলেও সেসব ব্যানারের নিচে কোনো কর্মী বা স্বেচ্ছাসেবককে দেখা যায়নি । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদি কোনো সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, তখন গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বার্ন ইনস্টিটিউটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রক্তদাতা ও স্বেচ্ছাসেবকেরা এসে ভিড় করেছিলেন। বিশেষ করে তৃতীয় লিঙ্গের শতাধিক নাগরিকের উপস্থিতি জনসচেতনতা ও মানবিকতার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল। প্রসঙ্গত, গত সোমবার উত্তরায় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) তথ্যমতে, ১৬৫ জন এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন মারা গেছেন এবং ৪৬ জন চিকিৎসাধীন। এছাড়া ঢাকা সিএমএইচ, কুয়েত মৈত্রী, ঢাকা মেডিকেল, উত্তরা আধুনিক ও অন্যান্য হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে।